মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর অতিরিক্ত তাপমাত্রায় প্রভাবের খেয়াল রাখতেই মূলত এ বিভাগ খোলা হয়।।
দেশটির জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা এইএমইটি জানিয়েছে, গরমের সময় স্পেনের দক্ষিণে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১১ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পৌঁছাতে পারে বলে। ধারণা করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে এ দাবদাহ। গত এক যুগে জুন মাসে তাপদাহ স্বাভাবিক হয়ে উঠছে স্পেনে।
ইকোলজিক্যাল ট্রানজিশন মিনিস্টার তেরেসা রিবেরা বলেছেন, ‘দেশের ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা দুর্বল মানুষদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। অতিরিক্ত গরমে জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যায় তা বোঝার জন্য আরও কাজ করা দরকার। স্বাস্থ্যের ক্ষতি হ্রাসের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আমাদের দেহে কী ঘটছে তা অবশ্যই জানতে হবে।’
মাদ্রিদে গত গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরমে একজন পৌরকর্মীর মৃত্যুর পর গরমের সময় স্পেন বাইরের কাজ নিষিদ্ধ করেছে। কর্মক্ষেত্রের জন্য বৈধ সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।
বার্সেলোনা শহরে তাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ২০০ টিরও বেশি জলবায়ু আশ্রয়কেন্দ্রের একটি নেটওয়ার্ক পরিচালনা করা হচ্ছে।
এদিকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সতর্ক করেছে যে দেশটি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রচন্ড তাপমাত্রা থেকে রক্ষা করার জন্য যথেষ্ট কাজ করছে না।
স্পেনের সবচেয়ে উষ্ণতম বছর ছিল গত বছর। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপার্নিকাস ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস সোমবার বলেছে, ইবেরিয়ান পেনিনসুলা বর্তমানে ইউরোপের সবচেয়ে শুষ্ক অঞ্চল।