হোয়াইট হাউজে দেয়া বক্তব্যে আদেশটিকে চরম হতাশাজনক উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তটিকে আমরা শেষ কথা হতে দিতে পারি না।’
এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অতীত নজির থেকে আদালত দূরে সরে এসেছে বলে মন্তব্য করেন বাইডেন। শুক্রবার দেয়া বক্তব্যে তিনি যোগ করেন, ‘আদালত কার্যত কলেজ ভর্তির ক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপের ইতি টেনেছে। আমি আদালতের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নই।’
প্রেসিডেন্ট বলেন, জাতিগত বৈষম্যই অ্যামেরিকার কলেজগুলোকে শক্তিশালী করে তোলে। সবার জন্য দেশে সমান সুযোগের কথা সবাইকে মনে করিয়ে দেন তিনি।
বাইডেন আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে প্রতিভা, সৃজনশীলতা ও কঠোর পরিশ্রম এই দেশের সবখানেই সমান। তবে, সবখানে সমান সুযোগ এই দেশে নেই।’
বৃহস্পতিবার জাতিগত সুবিধার ‘অ্যাফার্মেটিভ অ্যাকশন’ পলিসি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বাতিলের আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের চিফ জাস্টিস জন রবার্টস। এর ফলে, অ্যামেরিকায় কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জাতিগত পরিচয় বিবেচনায় নিতে পারবে না কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
কোর্টের বিচারকদের বেঞ্চে বৃহস্পতিবার সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে এই পলিসি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।
এই পলিসির কারণে দীর্ঘদিন ধরে কৃষ্ণাঙ্গ ও ল্যাটিনো শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার সুবিধা পেয়েছে। সেই সুবিধা অবসানের ক্ষেত্রে রায়টি ঐতিহাসিক নির্দেশনা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মূল শিক্ষার্থীদের স্রোতে যুক্ত করতে ১৯৬০ সাল সিভিল রাইটস অ্যাক্টে অন্তর্ভূক্ত করা হয় জাতিভিত্তিক অ্যাফার্মেটিভ অ্যাকশন পলিসি। এর মাধ্যমে কলেজগুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ পায় কৃষ্ণাঙ্গ ও হিসপ্যানিক শিক্ষার্থীরা।