এ নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো কম্বোডিয়াকে তাদের মাঠে হারাল বাংলাদেশ।
নমপেনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবারের ম্যাচে শুরুতে বেশ চাপে ছিল বাংলাদেশ। শুরুর দিকে দুটি কর্নার ও একটি ফ্রি-কিক আদায় করে বাংলাদেশের ওপর চড়াও হয় কম্বোডিয়া। সুযোগ পেয়েও স্বাগতিকরা গোল আদায় করতে পারেনি। ম্যাচের ৩ মিনিটের সময় বক্সের ভেতর থেকে সুকমপিকের নেয়া শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ২১ মিনিটে ব্রাক থিভা-র শট বিশ্বনাথ ঠেকিয়ে দিলে গোল পায়নি স্বাগতিকরা।
শুরু থেকে বাংলাদেশ নিজেদের রক্ষণ সামলে চেষ্টা করেছে কাউন্টার অ্যাটাকে যেতে। ২৪ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে কম্বোডিয়ার বক্সে ফয়সাল আহমেদের ভেসে আসা ক্রসে বাঁ পায়ের ভলিতে গোল করেন মজিবর। জাতীয় দলের হয়ে খেলা তৃতীয় ম্যাচে প্রথমবারের মতো গোলের দেখা পেলেন তরুণ এ মিডফিল্ডার।
পিছিয়ে পড়ে গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে ওঠে কম্বোডিয়া। তবে গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় স্বাগতিকরা গোলের দেখা পায়নি। ৩৮ ও ৪১ মিনিটে দুটি শট ঠেকিয়ে প্রতিপক্ষকে গোলবঞ্চিত রাখেন জিকো।
বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধেও গোল শোধের চেষ্টা চালায় কম্বোডিয়া। ৫২ মিনিটে তাদের একটি আক্রমণ ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন গোলকিপার জিকো। ৬৮ মিনিটে লিম পিসথের হেড সাইড বার দিয়ে গেলে সমতায় ফেরা হয়নি স্বাগতিকদের। মাঝে ডি-বক্সের বাইরে থেকে অভিষিক্ত শেখ মোরসালিনের নেওয়া জোরাল শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যায়।
শেষ দিকে কাজী তারিক লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ায় বাংলাদেশ ১০ জনের দলে পরিণত হয়। তাতে অবশ্য ম্যাচের ফলে কোনো পরিবর্তন আসেনি। শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।
কম্বোডিয়ার সঙ্গে ছয় ম্যাচ খেলে পাঁচটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ, অন্য একটি ম্যাচ ড্র। এর মধ্যে সবশেষ তিন ম্যাচে জয় পেয়েছে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১৯২তম অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ২১ জুন থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত ভারতের বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত হবে। এতে ভুটান, দুইবারের চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপ ও লেবাননের সঙ্গে ‘বি’ গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ।
লেবাননের বিপক্ষে ২২ জুন সাফ অভিযান শুরু করবে বাংলাদেশ। এরপর ২৫ জুন মালদ্বীপ ও ২৮ জুন ভুটানের বিপক্ষে খেলবেন লাল সবুজ জার্সিধারীরা।