তেলের জোগান কমাচ্ছে সৌদি, দাম বাড়ার শঙ্কা

টিবিএন ডেস্ক

জুন ৫ ২০২৩, ১৩:৫৪

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • 0

বিশ্বে তেলের সরবরাহ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। এতে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অর্গানাইযেশন অফ পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিসের (ওপেক) সদস্য দেশগুলো এর আগে গত মার্চে দুই দফায় তেলের সরবরাহ কমায়। সৌদি আরব বলছে, এর পরেও অপরিশোধিত তেলের দাম কমতে থাকায় জুলাইয়ের শুরু থেকে তারা দৈনিক এক মিলিয়ন ব্যারেল তেলের উৎপাদন কমাবে। 

সৌদির জ্বালানিমন্ত্রী আবদুল আজিজ বিন সালমান এক সংবাদ সম্মেলনে তেলের উৎপাদন কমানোকে ‘ললিপপ’ বলে অভিহিত করেছেন। 

তিনি বলেন, ‘আমরা কেকের আইসিং করতে চেয়েছি মাত্র। এই বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে যা যা করা দরকার ওপেক ও জোট তার সবই করবে।’

প্রয়োজনে তেলের সরবরাহ আরও দীর্ঘমেয়াদে কমানো হবে বলেও জানান তিনি।

রাইসট্যাড এনার্জির তেল বাজার গবেষণার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জর্জ লিওন বলেছেন, সৌদির তেল সরবরাহ কমানোর এই নতুন সিদ্ধান্তে সম্ভবত স্বল্পমেয়াদে তেলের দাম বাড়তে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদে এই সিদ্ধান্তের প্রভাব কতটা গুরুতর হবে তা নির্ভর করবে সৌদি আরব তেলের উৎপাদন আবার বাড়াবে কিনা তার উপর। 

তিনি বলেন, ‘উৎপাদন ও রপ্তানি কমানোর এই পদক্ষেপটি তেলের দাম নির্ধারণে সৌদিকে একচ্ছত্র ক্ষমতা দেবে, সৌদি যত ইচ্ছা তত তেলের বাজার নিয়ে খেলতে পারবে।’

বিশ্ববাজারে তেলের দামের মন্দায় অ্যামেরিকান চালকেরা সহজেই গাড়ির ট্যাঙ্ক পূর্ণ করতে পারতেন। বিশ্বব্যাপী গ্রাহকেরাও মুদ্রাস্ফীতি থেকে কিছুটা স্বস্তিতে ছিলেন। 

লিওন বলেন, ‘তেল আর সস্তা হচ্ছে না। বরং যদি কিছু হয়ই তাহলে তেলের দাম আরও বাড়বে।’

ওপেক তেল কার্টেলের সবচেয়ে প্রভাবশালী উৎপাদক সৌদি আরব। আকস্মিকভাবে গত এপ্রিল মাসে দৈনিক ১.৬ মিলিয়ন ব্যারেল তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় ওপেক জোটের কয়েকটি দেশ। এদের ভেতর সৌদির অংশ ছিল ৫০০ হাজার। 

ওপেক জোট গত অক্টোবরে দৈনিক ২ মিলিয়ন ব্যারেল উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দেয়। অ্যামেরিকার অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচনের মাত্র এক মাস আগে এ ঘোষণা আসায় ক্ষুব্ধ হন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সৌদির তেলের উৎপাদন কমানোয় দাম বৃদ্ধির মুনাফায় সুবিধাভোগী হবে রাশিয়া। তেলের মুনাফা থেকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অর্থ যোগান দিচ্ছে তারা। 

তেলের বাজার থেকে মস্কোর এই গুরুত্বপূর্ণ আয় সীমিত করতে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা দেয় পশ্চিমা জোট। অবশ্য রাশিয়া পশ্চিমা জোটকে টেক্কা দিয়ে নিষেধাজ্ঞার ভেতর ভারত, চায়না ও তুরস্কে নতুন তেল গ্রাহক খুঁজে পেয়েছে।       


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন