তবে কিয়েভ দাবি করেছে, এখনও শহরের অনেকগুলো অংশে ওয়াগনার বাহিনীর উপস্থিতি আছে।
যুদ্ধবিধস্ত শহর থেকে টেলিগ্রামে এক ভিডিও বার্তায় প্রিগোযিন বলেন, ‘বাখমুত থেকে আজ আমরা কিছু ইউনিট সরিয়ে নিচ্ছি। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।’
তিনি গত শনিবার বাখমুত দখলের ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেখানে এখন রাশিয়ান সেনাবাহিনীর জন্য পর্যাপ্ত গোলাবারুদ রেখে বের হয়ে যাচ্ছে গ্রুপটি।
এছাড়া সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করতে কয়েকজন উচ্চপদস্থ ওয়াগনার যোদ্ধাকেও বাখমুতে রেখে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন প্রিগোযিন। তিনি বলেন, ‘মিলিটারি সেখানে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়লে এই যোদ্ধারা সক্রিয় হবেন।’
তিনি থেকে যাওয়া যোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে রসিকতা করে বলেন, ‘রাশিয়ার সেনাদের আপনারা হেনস্তা করবেন না।’
ইউক্রেইনের আক্রমণে ইতোমধ্যে বাখমুতে অন্তত ২০ হাজার ওয়াগনার সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
বাখমুতের ‘দখলের’ সময় রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে পর্যাপ্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদের সহযোগিতা না পাওয়ায় কিছুদিন আগেও ক্ষুদ্ধ ছিলেন প্রিগোযিন। বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ সেনাদের না দিয়েই তিনি সেনা প্রত্যাহারের হুমকি দিয়েছিলেন।
পরে এই অবস্থান থেকে সরে রাশিয়ান সেনাদের পক্ষে বাখমুত নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত রাখে ওয়াগনার।