চায়নায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মুসলিমদের সংঘর্ষ: কয়েক ডজন গ্রেফতার

টিবিএন ডেস্ক

মে ৩০ ২০২৩, ২০:৫০

চায়নায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মুসলিমদের সংঘর্ষ। ছবি: টুইটার

চায়নায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মুসলিমদের সংঘর্ষ। ছবি: টুইটার

  • 0

চায়নায় ইউনান শহরে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় একটি মসজিদের গম্বুজ ভেঙে ফেলার ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে মুসলিম বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ পর্যন্ত কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শনিবার ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে নাগু শহরের থার্টিন্থ-সেঞ্চুরি নাজিয়াইং মসজিদের বাইরে সংঘর্ষ হতে দেখা যায়। স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার এক পর্যায়ে শতাধিক সশস্ত্র কর্মকর্তা তাদের বাধা দেন।

নাগুর নাজিয়াইং মসজিদ মুসলিমদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ল্যান্ডমার্ক। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় মসজিদটিতে নতুন গম্বুজযুক্ত ছাদ, সেইসঙ্গে বেশ কয়েকটি মিনার যোগ করা হয়েছে। তিন বছর আগে চায়নার আদালত মসজিদটির নতুন এ সংযোজনগুলোকে বেআইনি উল্লেখ করে সেগুলো অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিল।

আদেশটি কার্যকরের জন্য চায়নার সাম্প্রতিক পদক্ষেপ এ বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শনিবারের বিক্ষোভের ভিডিওগুলো যাচাই করে বিবিসি জানায়, মসজিদে প্রবেশে বাধা দেয়ায় পুলিশকে ঢিল ছুড়ে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। অন্য ক্লিপগুলোতে মুসলিমদের ওই মসজিদে প্রবেশ করতে দেখা যায়।

টংহাই কাউন্টি পুলিশ রোববার এক বিবৃতিতে বিক্ষোভকারীদের ৬ জুনের মধ্যে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছে। 

নোটিশে বলা হয়েছে, ‘যারা আত্মসমর্পণ করবে তাদের শাস্তি কমানো হবে।’

জাতিগতভাবে বৈচিত্র্যময় ইউনান প্রদেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় মুসলিম জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। সরকারিভাবে চায়না একটি নাস্তিক দেশ। তবে দেশটির সরকারের দাবি, নাগরিকদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংগঠিত ধর্মগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে চায়না।

চায়নার ৫৬টি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম সুন্নি মুসলিম সম্প্রদায় হুই। এর আগে ২০১৮ সালে, নিংজিয়া অঞ্চলের শত শত হুই মুসলিম তাদের মসজিদ ধ্বংস করা ঠেকাতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সংঘর্ষে জড়ায়। একই বছর, ইউনানের তিনটি মসজিদকে অবৈধ ধর্মীয় শিক্ষা প্রচারের অভিযোগে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।

চায়নার বিরুদ্ধে উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ জিনজিয়াং-এ উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। সেখানে বহু মসজিদ ভেঙে দেয়া হয়েছে এবং ইসলামিক ধর্মীয় অনুশীলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন