নিখোঁজ সাবমার্সিবল আরোহীদের শেষ মুহূর্তে শীতল ঘুম!

টিবিএন ডেস্ক

জুন ২৩ ২০২৩, ১:২৫

টাইটান সাবমার্সিবল ও তার পাঁচ আরোহী। ছবি: সংগৃহীত

টাইটান সাবমার্সিবল ও তার পাঁচ আরোহী। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

অ্যাটলান্টিকে নিখোঁজ সাবমার্সিবল টাইটানে অক্সিজেনের জোগান শেষ হয়ে গেছে বলে আশংকা করছেন উদ্ধারকারীরা। ইউএস কোস্টগার্ডের তথ্য অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৮ মিনিটে টাইটানে অক্সিজেন শেষ হওয়ার কথা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অক্সিজেন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টাইটানে বাড়তে থাকবে কার্বন-ডাই অক্সাইড। কেবিনে পরিবেশটি ধীরে ধীরে হয়ে উঠবে চেতনানাশক। অক্সিজেনহীন পরিবেশে কার্বন-ডাই অক্সাইডের প্রভাবে চেতনা হারিয়ে অনেকটা ‘ঘুমের কোলে’ ঢলে পড়বেন টাইটানের চালকসহ পাঁচ আরোহী।

এক শ’ বছরেরও বেশি আগে ১৯১২ সালে অ্যাটলান্টিকে ডুবে যাওয়া টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে যাওয়া ওশানগেট কোম্পানির পর্যটকবাহী সাবমার্সিবল ‘টাইটান’ রোববার যাত্রা শুরুর পৌনে ১ ঘণ্টার মধ্যে নর্থ অ্যাটলান্টিকে নিখোঁজ হয়। বিভিন্ন দেশের সমন্বিত অনুসন্ধান চললেও এখন পর্যন্ত সাবমার্সিবলটির অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি। ইউএস কোস্টগার্ডের হিসাবে বৃহস্পতিবার সকালে সাবমেরিনে ৯৬ ঘণ্টা অক্সিজেনের জোগান শেষ হওয়ার কথা।

এই সাবমার্সিবলে আরোহী হিসেবে আছেন পাকিস্তানি ধনাঢ্য ব্যক্তি ৪৮ বছরের শাহজাদা দাউদ ও তার ১৯ বছর বয়সী ছেলে সুলেমান, ব্রিটিশ ধনকুবের ৫৮ বছরের হামিশ হার্ডিং, ৭৭ বছর বয়সী সাবেক ফ্রেঞ্চ ডাইভার পল-হেনরি নারজিওলেট এবং সাবমার্সিবলের চালক ও ওশানগেট কোম্পানির প্রধান নির্বাহী স্টকটন রাশ।

বিশেষজ্ঞদের আশংকা, ২২ ফুট দীর্ঘ এব২ ৯.৫ ফুট প্রস্থের টাইটানে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা এরই মধ্যে সম্ভবত অচল হয়ে গেছে। এর ফলে আবদ্ধ জায়গাটির বাতাসে কার্বন-ডাই অক্সাইড ফিল্টার করার জন্য অতি প্রয়োজনীয় ‘স্ক্রাবার’ হয়ত বন্ধ হয়ে গেছে।

এর ফলে বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্বাসের মাধ্যমে কার্বন-ডাই অক্সাইড ত্যাগের অনুপাত বাড়বে।

নিউফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জনস-এর মেমোরিয়াল ইউনিভার্সিটির হাইপারবারিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ড. কেন লেডেজ বলছেন, ‘এমন পরিবেশ চিন্তাশক্তিকে বিবশ করে দেয়, এটি একটি চেতনানাশক অবস্থা তৈরি করবে এবং আপনি অনেকটা ঘুমের কোলে হারিয়ে যাবেন।’

কার্বন-ডাই অক্সাইডের বিষক্রিয়া মারাত্মক হতে পারে। অত্যধিক মাত্রায় এই গ্যাস রক্তে মিশে গেলে শ্বাসরোধ বা মস্তিষ্ক ও স্নায়ু অকার্যকর হয়ে যায়।

তবে টাইটানের আরোহীদের অক্সিজেন গ্রহণের মাত্রা অনেকটা কমিয়ে তাদের জীবিত উদ্ধারের সময়কালকে বাড়িয়ে দিতে পারে ‘হাইপোথার্মিয়া’।

বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন, গভীর সমুদ্রের নিম্ন তাপমাত্রার কারণে সাবমার্সিবলের আরোহীরা যদি হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হন, তাহলে তারা দ্রুত অচেতন হয়ে পড়বেন। এতে অক্সিজেন গ্রহণের মাত্রা কমে গিয়ে তাদের আরও কিছুটা বেশি সময় বেঁচে থাকার সুযোগ তৈরি হবে।

পানির নিচ দিয়ে চলা সাবমার্সিবলে ‘কার্বন-ডাই অক্সাইড স্ক্রাবিং’ নামে একটি প্রদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এ ক্ষেত্রে রাসায়নিকভাবে সোডা লাইম ব্যবহার করে বাতাস থেকে কার্বন-ডাই অক্সাইড অপসারণ করে নিরাপদ শ্বাস-প্রশ্বাসের পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়।

কার্বন-ডাই অক্সাইড একটি বর্ণ ও গন্ধহীন গ্যাস। স্বাভাবিক পরিবেশে এই গ্যাসের বিদ্যমান মাত্রা মানুষের জন্য বিপদজনক নয়, তবে বদ্ধ জায়গায় এটি প্রাণঘাতী হতে পারে।

কার্বন-ডাই অক্সাইডের বিষক্রিয়ার লক্ষণের মধ্যে আছে মাথাব্যথা ও তন্দ্রাভাব। উচ্চ মাত্রার বিষক্রিয়ায় বিভ্রান্তি, দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস গ্রহণ ও খিঁচুনি হতে পারে। ধীরে ধীরে এটি প্রাণ হরণের দিকে নিয়ে যায়।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার বলছে, বাতাসে কার্বন-ডাই অক্সাইডের বেশি মাত্রায় উপস্থিতির কারণে তৈরি হওয়া ঘাটতির ফলে শ্বাসরোধে মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

রয়্যাল নেভির সাবেক এক সাবমার্সিবল ক্যাপ্টেন দাবি করেছেন, টাইটানের ভেতরে তোলা আগের ভিডিওগুলো পর্যালোচনা করে তিনি স্ক্রাবারের কোনো চিহ্ন দেখতে পাননি।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইউএস নেভির আন্ডার সি মেডিসিন অ্যান্ড রেডিয়েশনের সাবেক পরিচালক ড. ডেল মোলে জানিয়েছিলেন, মানুষ যখন বায়ুরোধী কোনো জায়গায় আটকে থাকে তখন অক্সিজেনের অভাবই সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়।

তবে ড. মোলে একইসঙ্গে বলছেন, এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ঝুঁকিটি আসলে কার্বন-ডাই অক্সাইড। কারণ সাবমার্সিবলের ব্যাটারির শক্তি শেষ হয়ে গেলে স্ক্রাবিং সিস্টেম আর কাজ করবে না।

ড. মোলে বলছেন, সাবমার্সিবলের আরোহীরা যখন শ্বাস নেন তখন তারা বাতাসের ১৭ থেকে ২১ শতাংশ অক্সিজেন গ্রহণ করেন। তবে প্রশ্বাসের সময় তারা যে কার্বন-ডাই অক্সাইড ত্যাগ করেন সেটি অপসারণ করা জরুরি। নইলে বাতাস বিষাক্ত হয়ে যায়।

রয়্যাল নেভির সাবেক ক্লিয়ারেন্স ডাইভার ও ফকল্যান্ডস ভেটেরান রে সিনক্লেয়ারও একই কথা বলছেন। তিনি সতর্ক করেছিলেন, বাতাসে বেশি মাত্রার কার্বন-ডাই অক্সাইডের কারণে এরই মধ্যে সাবমার্সিবলের পাঁচ আরোহীর মৃত্যু হতে পারে।

সিনক্লেয়ার ১৯৮৪ সালে একটি ছোট সাবমেরিনে নর্থ সির গভীরে ডুব দেয়ার পর টাইটানের মতোই মূল জাহাজ থেকে কয়েক ঘণ্টার জন্য যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছিলেন।

তিনি ডেইলি এক্সপ্রেস ইউএসকে বলেন, এই ছোট সাবমার্সিবলগুলোর ব্যাটারির একটি নির্দিষ্ট আয়ুষ্কাল রয়েছে এবং এতে কার্বন-ডাই অক্সাইড স্ক্রাবারও আছে।

তিনি বলেন, ‘ব্যাটারির কার্যক্ষমতা শেষ হয়ে গেলে কেবিন বিষাক্ত গ্যাসে ভরে ওঠে। এর ফলে অক্সিজেন ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই মানুষের দম বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

‘কার্বন-ডাই অক্সাইড স্ক্রাবার বন্ধ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তারা মারা যাবেন। কার্বন-ডাই অক্সাইডের বেশি মাত্রার কারণে তারা অল্প সময়ের মধ্যেই তারা ঘুমের অতলে হারিয়ে যাবেন এবং ঘুমের মধ্যেই তাদের মৃত্যু হবে। আমার আশংকা টাইটানে এরই মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে।’ তিনি বলেন, ‘এটি একটি নিখাদ দুঃস্বপ্নের দৃশ্য। এটি কোনো ডাইভার কখনও কল্পনা করতে চান না, তবে এটাই বাস্তব। আমি মনে করি তাদের খুঁজে পাওয়া গেলেও এমন ঘটনা দিন কয়েক আগেই ঘটে যেতে পারে।’

কার্বন-ডাই অক্সাইড ছাড়াও সাবমার্সিবলের পাঁচ আরোহীকে হাইপোথার্মিয়ার সঙ্গে লড়তে হতে পারে।

অ্যাটলান্টিকের অতলে সামান্য কোনো আলো পৌঁছায় না। আর টাইটানিক যেখানে পড়ে আছে সেই ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে তাপমাত্রা মাত্র ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ক্লান্ত ও অবসন্ন মানুষ ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পানিতেই হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে।

সাবমার্সিবলে বৈদ্যুতিক শক্তি অচল হয়ে গেলে এর ভেতরে উত্তাপ তৈরি হবে না। তবে হাইপোথার্মিয়া সাবমার্সিবলের পাঁ আরোহীকে কিছুটা বেশি সময় বেঁচে থাকতেও সহায়তা করতে পারে।

ড. কেন লেডেজ বলছেন, ‘আরোহীরা প্রচণ্ড ঠান্ডায় চেতনা হারিয়ে ফেললে তারা বেঁচে যেতেও পারেন। এমন অবস্থায় শরীর স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেঁচে থাকার জন্য মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবে।’

তবে তিনি সতর্ক করে বলছেন, ‘অচেতন অবস্থায় আরোহীদের শারীরিক কাঁপুনি বেড়ে গেলে অক্সিজেন ব্যবহারও বাড়বে। এতে দ্রুত অক্সিজেন ঘাটতি তৈরি হতে পারে।’

নিখোঁজ হওয়ার পর আতঙ্কের পরিস্থিতিও পরিস্থিতিকে আরও জটিল করতে পারে। এতে আরোহীরা দ্রুত ও গভীর শ্বাস নিতে শুরু করতে পারেন, যাতে অক্সিজেনের ব্যবহার বাড়বে।

টাইটানে আরেকটি আশংকার কথা বলছেন পোর্টসমাউথ ইউনিভার্সিটির সামুদ্রিক জীববিজ্ঞান বিভাগের লেকচারার এবং গভীর সমুদ্র বিশেষজ্ঞ ড. নিকোলাই রোটারম্যান। তিনি বলছেন, সাবমার্সিবলটিতে সঞ্চিত অক্সিজেন থেকে বিস্ফোরণের ঝুঁকিও রয়েছে।

ড. রোটারম্যান বলেন, ‘গভীর সমুদ্রে সাবমার্সিবলের অক্সিজেন সমৃদ্ধ বাতাস আগুনের ঝুঁকির তীব্রতা বাড়িয়ে তুলতে পারে।

‘অগ্নিঝুঁকির কারণে গভীর সমুদ্র মিশনে পেট্রোলিয়ামভিত্তিক মেকআপ ও ত্বকের ক্রিম নিষিদ্ধ। এমনকি অক্সিজেনের সাহায্য ছাড়াও এমন সীমাবদ্ধ জায়গায় যেকোনো মাত্রার আগুন দ্রুত আরোহীদের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।’

টাইটানের ভেতরে বসার কোনো আসন নেই। যাত্রীদের খালি পায়ে এবং মেঝেতে বসতে হয়। একটি ছোট কালো বাক্সের মতো টয়লেট আছে, যেখানে গোপনীয়তার জন্য আছে শুধু একটি কালো পর্দা।

টাইটান সাবমার্সিবলটি ক্যানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের উপকূল থেকে ৩৭০ মাইল দূরে ১২ হাজার ৫০০ ফুট পানির নিচে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয়।

টাইটানের দৈর্ঘ্য ২২ ফুট এবং প্রস্থ ৯.৫ ফুট। বাইরে থেকে এটি দেখতে চকচকে ধাতব বস্তুর মতো। এতে প্রবেশ বা বের হওয়ার কোনো দরজা নেই। টাইটান সাগরে নামার আগে ১৭টি বোল্ট খুলে আরোহীদের ভেতরে ঢোকানো হয় এবং উঠে আসার পরে একই পদ্ধতিতে বের করা হয়।

সাবমার্সিবলটিতে উন্নত প্রযুক্তি থাকলেও ভেতরের বেশিরভাগটাই ফাঁকা। শুধু একটি বোতাম আছে সাবমার্সিবলটি চালু করার জন্য। দেয়ালে স্ক্রিন এবং সামনে একটি ছোট পোর্টহোল জানালা রয়েছে সমুদ্রের গভীরতা দেখার জন্য। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষও দেখতে হয় ওই জানালা দিয়ে। সাবমার্সিবলের ভিতরে বসার কোনো আসন নেই। যাত্রীরা এতে ঢোকার আগে পায়ের জুতা মাদারশিপে রেখে দেন। এরপর মেঝেতে আসন গেড়ে বসে থাকতে হয়।

টাইটানের চালক একটি মডিফায়েড লজিটেক গেমিং কন্ট্রোলারের সাহায্যে এটি পরিচালনা করেন। টুইন থাম্বস্টিক এবং চারটি রঙিন বোতামের কন্ট্রোলারটি সাবমার্সিবলটিকে উপরে, নিচে, বাঁয়ে, ডানে এবং সামনে ও পিছনে যেতে নির্দেশনা দেয়।

ওশানগেটের তথ্য অনুযায়ী, টাইটানে অত্যাধুনিক আলো এবং সোনার নেভিগেশন সিস্টেমের পাশাপাশি ভিতরে ও বাইরে ফোর-কে ভিডিও ক্যামেরা ও ফটোগ্রাফির আধুনিক সরঞ্জাম রয়েছে।

ওশানগেট গত এপ্রিলে ভার্জিনিয়ার একটি অ্যামেরিকান ডিসট্রিক্ট কোর্টে বলেছিল, টাইটান নির্বিঘ্নে ২.৪ মাইল গভীরে ডাইভ দিতে সক্ষম। ভূমিতে টাইটানের ওজন ২০ হাজার পাউন্ড হলেও সমুদ্রের তলদেশে এটি স্থির অবস্থানে থাকতে পারে।

পর্যটকদের টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২ হাজার ৫০০ ফুট নিচে নিয়ে যেতে জনপ্রতি ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার নেয় ওশেনগেট। যাত্রার আগে পর্যটকদের একটি চুক্তিতে সই করতে হয়। তারা জানেন সাবমার্সিবলটি কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থার মাধ্যমে অনুমোদিত নয়।

ওশানগেটের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘টাইটানে অনবোর্ড হেলথ অ্যানালাইসিস মনিটরিং সিস্টেম রয়েছে। পাইলটের সময় মতো প্রাথমিক সতর্কতা দেয়া হয়, যাতে যানটিকে নিরাপদে সমুদ্রপৃষ্ঠে ফিরিয়ে আনা যায়।’

নিখোঁজ সাবমার্সিবলটিতে এক দিনে সর্বোচ্চ পাঁচ জনের অভিযাত্রার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। সাধারণত গভীর সমুদ্র যাত্রায় গন্তব্যে পৌঁছাতে দুই ঘণ্টা সময় লাগে। এরপর অভিযাত্রীরা কয়েক ঘণ্টা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দর্শন শেষে ফের দুই ঘণ্টার যাত্রায় উপকূলে ফিরে আসেন। পুরো ডাইভটি সব মিলিয়ে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

পাঁচ আরোহী বহনকারী সাবমার্সিবলটি গত সপ্তাহে কানাডার সেন্ট জন’স বন্দর ছেড়ে যায়। একটি মাদারশিপ এমভি পোলার প্রিন্স একে টাইটানিক ডুবে যাওয়ার এলাকায় নিয়ে যায়। এরপর সাবমার্সিবলটি মাদারশিপ ছেড়ে সাগরের ১২ হাজার ৫০০ ফুট পানির নিচে নামতে শুরু করার কিছুক্ষণ পরেই পোলার প্রিন্সের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন