নিউ ইয়র্কের থার্টি রকফেলার সেন্টারের জমায়েতে প্ল্যাকার্ড হাতে দেখা গেছে অ্যাপল টিভির ‘ট্যাড শো’ এর তারকা জেসন সুডেকিসকে। সেই সঙ্গে দেখা গেছে শিটইস ক্রিক অভিনেতা ডাস্টিন মিলিগান ও দ্য প্র্যাক্টিস তারকা ডিলান ম্যাকডারমটকে।
নিউইয়র্কে অ্যামাজন, নেটফ্লিক্স, ইউনিভার্সাল, প্যারামাউন্ট ও ওয়ার্নার ব্রাদার্সের অফিসসহ অন্য মিডিয়া কোম্পানির বাইরে জমায়েত হন তারকারা।
চলমান ধর্মঘট নিয়ে জনপ্রিয় হলিউড তারকা ম্যাট ডেমন বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, ‘আমাদের প্রান্তিক পর্যায়ের ব্যক্তিদের রক্ষা করতে হবে।’
আরেক তারকা জর্জ ক্লুনি বিনোদন সাইট ডেডলাইনকে বলেন, ‘তারকা ও লেখকরা অনেকেই তাদের জীবিকা অর্জনের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। আমাদের ইন্ড্রাস্টিকে টিকিয়ে রাখতে হলে এই অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে।’
অভিনেত্রী জেমি লি কার্টিস ভরসা রাখছেন অভিনেতাদের সংগঠন বস্ক্রিন অ্যাক্টর্স গিল্ড-অ্যামেরিকান ফেডারেশন অফ টেলিভিশন অ্যান্ড রেডিও আর্টিস্টস (স্যাগ-অ্যাফট্রা) এর ওপর। ইন্সট্রাগ্রামে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের ইউনিয়ন শক্তিশালী।’
তারকারা তাদের পারিশ্রমিক বৃদ্ধি, চাকরির নিশ্চয়তার দাবিতে পথে নেমেছেন। বিশেষ করে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) যাতে তারকাদের স্থান দখল করতে না পারে তাদের সেই নিশ্চয়তা দিতে হবে।
অস্কারজয়ী অভিনেত্রী সুসান স্যারান্ডন বিবিসিকে বলেন, ‘এআই সবাইকে প্রভাবিত করবে। প্রতিবারই কোনো না কোনো প্রযুক্তির কারণে ক্ষতি হয়েছে। যদি ভবিষতের চিন্তা না করা হয় তাহলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’
প্রেস কনফারেন্সে স্যাগ-অ্যাফট্রা এর প্রেসিডেন্ট ফ্র্যান ড্রেশার বলেন, ইউনিয়ন শুধু পারিশ্রমিক বাড়ানোর জন্য নয়, এআইয়ের জন্য তারা চাকরি না হারান ও কর্পোরেট লোভের হাত থেকে সুরক্ষার জন্য লড়াই করছে।
১৯৮০ সালের পর টেলিভিশন শো ও চলচ্চিত্র প্রযোজনার বিরুদ্ধে প্রথম বারের মতো অভিনেতাদের ধর্মঘট। আর ৬৩ বছর পর এ প্রথম হলিউডের স্টুডিওগুলি লেখক ও অভিনেতাদের যৌথ ধর্মঘটের সমুখীন হলো।