বাইডেন প্রশাসনের ‘অ্যাসাইলাম ব্যান’ আটকে দিল আদালত

টিবিএন ডেস্ক

জুলাই ২৫ ২০২৩, ২২:০৫

মেক্সিকো সীমান্তে অভিবাসন প্রত্যাশীদের পক্ষে অ্যামেরিকান আদালতের রায় ঘোষণা। ছবি: সংগৃহীত

মেক্সিকো সীমান্তে অভিবাসন প্রত্যাশীদের পক্ষে অ্যামেরিকান আদালতের রায় ঘোষণা। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

মেক্সিকো সীমান্তে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘অ্যাসাইলাম ব্যান’ আটকে দিয়েছেন অ্যামেরিকান বিচারক জন টিগার। আদালতের এই রায়কে ‘বিজয়’ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে অভিবাসী অধিকার সংস্থাগুলো।

জন টিগার মঙ্গলবার আদালতের রায়ে জানিয়েছেন, বাইডেন প্রশাসনের সীমান্ত নীতির মূল অংশ অ্যামেরিকার অ্যাসাইলাম আইন লঙ্ঘন করেছে।

বাইডেনের সীমান্ত নীতিতে বেশিরভাগ আশ্রয় প্রার্থী অ্যামেরিকার সীমান্তে আবেদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন যা দেশটির অভিবাসী আইনের মূল উদ্দেশ্যকে লঙ্ঘন করে।

এই রায় সীমান্তে তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে না। টিগার বাইডেন প্রশাসনকে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলের সময় দেয়ার জন্য দুই সপ্তাহের জন্য রায়টি স্থগিত রেখেছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রায় প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইউএস নাইন্থ সার্কিট কোর্ট অফ অ্যাপিলের কাছে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে বাইডেন প্রশাসন।

অ্যামেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের ইমিগ্রেন্টস রাইটস প্রজেক্টের ডেপুটি ডিরেক্টর ক্যাটরিনা আইল্যান্ড বলেছেন, ‘এই রায় আমাদের বিজয়।’

বাইডেন প্রশাসনের আপিল আবেদনের আগে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এই সাফল্যের পথ খুব কঠিন ছিল। সীমান্তে প্রতিদিন বাইডেন প্রশাসনের অনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আমাদের লড়াইকে আরও দীর্ঘ করেছে। অসংখ্য আশ্রয়প্রার্থী অভিবাসী নিপীড়ন থেকে বাঁচতে পালিয়ে বেড়ায়। নিরাপদ জীবনের আশায় তারা অ্যামেরিকায় আশ্রয় প্রার্থনা করে।

‘বাইডেন প্রশাসনের সীমান্ত নীতিতে পরিবারের জন্য নিরাপদ অভিবাসন প্রত্যাশীরা উল্টো বিপদে পড়ে যায়।’

বাইডেন প্রশাসনের দাবি, তাদের সীমান্ত নীতি কঠোর করার ফলে ইউএস-মেক্সিকো সীমান্তে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা উল্লেখজনক হারে হ্রাস পেয়েছে।

তারা জানান, গত জুন মাসে ১০০ হাজারেরও কম অনুপ্রবেশকারীকে আটক করেছে বর্ডার প্যাট্রোল যা ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির পর থেকে সর্বনিম্ন।

অ্যামেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সীমান্ত নীতি টাইটেল ফোরটি টুয়ের পরিপ্রেক্ষিতে কঠোর সীমান্ত নীতি প্রণয়ন করে বাইডেন প্রশাসন। ফলে আশ্রয় প্রার্থী অভিবাসীদের একটি তৃতীয় দেশের কাছে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করতে হয়।

এই নীতিকে ‘অ্যাসাইলাম ব্যান’ হিসেবে অভিহিত করে সেটির বিরোধিতা করে সমালোচকেরা বলেছেন, বাইডেনের প্রস্তাবিত নীতিটি আন্তর্জাতিক অভিবাসী আইন লঙ্ঘন করেছে। এই নীতি বাস্তবায়নে অনিরাপদ তৃতীয় দেশের কাছে অভিবাসীদের আশ্রয় প্রার্থনা ও সুরক্ষা চেয়ে আবেদন করতে বাধ্য করছে অ্যামেরিকা যা অভিবাসীদের আরও ঝুঁকিতে ফেলছে।

জন টিগার মঙ্গলবারের রায়ের ব্যাখ্যায় বলেছেন, ‘যে সব সীমান্ত দিয়ে অভিবাসীরা অ্যামেরিকায় প্রবেশের সুযোগ পায় সেসব সীমান্তে তাদের বাধা দেয়ায় বাইডেন প্রশাসন আর চাপ সৃষ্টি করতে পারবে না।’


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন