তিনি বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। নির্বাচনি বিষয়গুলো অন্যতম ইস্যু হিসেবে আলোচনায় আসতে পারে। আমরা এটি উড়িয়ে দিচ্ছি না।’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, মানবাধিকার, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, বাণিজ্য, শ্রমসহ পারস্পরিক স্বার্থের অন্যান্য বিষয় আলোচনায় আসবে।
বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার বিষয়ক অ্যামেরিকান আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া ১১ থেকে ১৪ জুলাই এ সফরে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর জন্য অ্যামেরিকান সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এবং এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর উপ-সহকারী প্রশাসক, ইউএসএআইডি অঞ্জলি কৌর প্রতিনিধিদলে থাকবেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, জেয়া তুলনামূলকভাবে একজন সিনিয়র অ্যামেরিকান কর্মকর্তা এবং তার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকা বেশ প্রশস্ত।
মোমেন বলেন, ‘অ্যামেরিকান প্রতিনিধি দল শুধু নির্বাচনি ইস্যুতে আলোচনা করতে আসছে এমন কোনো তথ্য আমার কাছে নেই, তবে এটা দুই দেশের বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা।’
চলতি বছরের শুরুতে ডোনাল্ড লুও বাংলাদেশ সফর করেন। লু সাম্প্রতিক অতীতে ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ নীতি নির্ধারণে ব্যাপকভাবে জড়িত।
এদিকে মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে জনকূটনীতি বিভাগের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ‘উজরা জেয়ার নেতৃত্বে অ্যামেরিকান প্রতিনিধি দলের এই সফর মূলত দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে এগিয়ে নেয়ার এবং জোরদার করার প্রচেষ্টা।’
অ্যামেরিকান প্রতিনিধি দল বিভিন্ন পর্যায়ে তাদের ব্যস্ততার পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবে।