অ্যামেরিকায় ২০২৪ সালের শুরুতে বাজারে আসবে হেডসেটটি। এর দাম শুরু হবে ৩৪৯৯ ডলার থেকে। ক্যালিফোর্নিয়ায় অ্যাপলের হেডকোয়ার্টারে বাৎসরিক ওয়ার্ল্ডওয়াইড ডেভেলপার্স কনফারেন্সে সোমবার বহুবছর ধরে গবেষণার পর এ হেডসেটটি বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটি।
অ্যাপলের সিইও টিম কুক বলেন, ‘আমার বিশ্বাস অগমেন্টেড রিয়্যালিটি একটি বড় মাপের প্রযুক্তি।’
তিনি মনে করেন আইফোন যেভাবে লাখো মানুষকে স্মার্টফোনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল তেমনি ভিশন প্রো ভিশন প্রো মানুষকে নতুন ধরনের ‘স্পেশাল কম্পিউটিং’ এর সঙ্গে পরিচিত করাবে।
কুক আরও বলেন, ‘কয়েক দশক ধরে অ্যাপল যে উদ্ভাবনগুলো করছে তার মধ্যে ভিশন প্রো সময়ের থেকে এগিয়ে আছে। এর মতো কিছু আগে তৈরি হয়নি। ভিশন প্রোর মধ্যে আছে বৈপ্লবিক নতুন ইনপুট সিস্টেম ও হাজার হাজার যুগান্তকারী নতুন প্রযুক্তি।’
অ্যাপল ভিশন প্রো ব্যবহার করতে কোনো ধরনের কন্ট্রোলার প্রয়োজন হবে না। এটি সম্পূর্ণ ব্যবহারকারির চোখের ও হাতের ইশারার উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হবে। এটি ভয়েস ইনপুটের মাধ্যমেও চলবে।
ব্যবহারকারী যখন অগমেন্টেড রিয়ালিটিতে থাকবেন তখন আশেপাশের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ভিশন প্রো একটি ফিচার ব্যবহার করে যেটিকে অ্যাপল বলছে ‘আইসাইট’। এর মাধ্যমে আশেপাশের মানুষেরা ব্যবহারকারীর চোখ দেখতে পাবে। ব্যবহারকারী যদি সম্পূর্ণ ভিআর মোডে থাকে তাহলে স্ক্রিনটি ঘোলাটে হয়ে যাবে।
হেডসেটটিতে অ্যাপলের প্রথম থ্রিডি ক্যামেরাও থাকছে। এটি চতুর্থদিকের ভিডিও ও ছবি তুলতে পারবে।