চায়নার নতুন অ্যাম্বাসেডরের সামনে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ

টিবিএন ডেস্ক

মে ২৪ ২০২৩, ১৮:৪৭

অ্যামেরিকায় বিমানবন্দরে অবতরণের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি চায়নার নতুন অ্যাম্বাসেডর শিয়ে ফং। ছবি: সিএনএন

অ্যামেরিকায় বিমানবন্দরে অবতরণের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি চায়নার নতুন অ্যাম্বাসেডর শিয়ে ফং। ছবি: সিএনএন

  • 0

অ্যামেরিকায় চায়নার নতুন অ্যাম্বাসেডর হিসেবে মঙ্গলবার নিউ ইয়র্ক পৌঁছেছেন শিয়ে ফং। জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক ‘গুরুতর জটিলতা ও চ্যালেঞ্জ’ মোকাবিলা করলেও অ্যামেরিকা ও চায়নার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর চেষ্টা করবেন।

বিমানবন্দরে শিয়ে ফং সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এখানে চায়নার স্বার্থ রক্ষার কাজে এসেছি, এটি আমার পবিত্র দায়িত্ব।

‘আমি চাইনিজ জনগণের দূত। চায়না-অ্যামেরিকা দ্বৈত সহযোগিতা ও বিনিময় বাড়াতে আমি এখানে এসেছি।’

৫৯ বছর বয়সী শিয়ে ইংরেজিতে সাবলীল। সম্প্রতি তিনি অ্যামেরিকার বিভিন্ন নীতি তত্ত্বাবধায়নের দায়িত্বপালন করেছেন। তিনি চায়নার ভাইস ফরেইন মিনিস্টার পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

সাবেক অ্যাম্বাসেডর চিন গ্যাংয়ের পদোন্নতির প্রায় এক বছর পর নতুন অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ পেলেন শিয়ে ফং। 

তাইওয়ান থেকে শুরু করে বাণিজ্য পর্যন্ত কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েনে অ্যামেরিকার হস্তক্ষেপ নিয়ে কটূক্তির জন্য পরিচিতি রয়েছে শিয়ের। 

এর আগে ওয়াশিংটন ডিসিতে চায়না অ্যাম্বাসিতে দুই দফায় তিনি দায়িত্ব পালন করেন। 

অ্যামেরিকার আকাশে চাইনিজ গুপ্তচর বেলুন ওড়ার সন্দেহে ‘অনিচ্ছাকৃতভাবে’ গুলি চালানোর অভিযোগে গত ফেব্রুয়ারিতে শিয়ে অ্যামেরিকার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি তুলে ধরেন। 

তবে বেইজিংয়ের দাবি, বেলুনটি কোনো গুপ্তচরবৃত্তির বাহন ছিল না, সেটি ছিল সিভিলিয়ান এয়ারশিপ। 

প্রেসিডেন্ট বাইডেন এ ঘটনার পর চায়নার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের আশা করেছিলেন। 

প্রেসিডেন্ট বাইডেন রোববার জানিয়েছেন, তিনি অ্যামেরিকা-চায়না ইস্যুতে আরও বৈঠক চান। 

স্টেইট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘শিয়ের আগমনকে স্বাগত জানিয়েছে অ্যামেরিকা।

‘আমরা মনোনীত নতুন অ্যাম্বাসেডর ও তার দলের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছি। বেশকিছু অনুষ্ঠানেও আমরা বলেছি পিপল’স রিপাবলিক অফ চায়নার (পিআরসি) সঙ্গে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা চালাতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’

চায়নাকে ‘কাল্পনিক শত্রু’ মনে করার অভিযোগ জানিয়ে ২০২১ সালে শিয়ে তিয়ানজিনের ডেপুটি সেক্রেটারি অফ স্টেইট, ওয়েন্ডি শেরম্যানের কাছে একটি দীর্ঘ তালিকা দিয়ে অ্যামেরিকার কাছে চায়নার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার দাবি জানিয়েছিলেন। 

তবে শিয়ে অ্যামেরিকান কর্মকর্তাদের সঙ্গে অতীতের প্রায় সব বৈঠকেই চায়নার সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন নিয়ে কথা বলেছেন। 


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন