নর্থ ও সেন্ট্রাল অ্যামেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের এই চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে সাম্প্রতিক সময়ের ব্যর্থতা কাটিয়ে শিরোপা ঘরে তুলতে উদগ্রীব ছিল মেক্সিকো। অন্যদিকে তৃতীয়বার মতো ফাইনাল খেলতে এসে প্রথমবার গোল্ড কাপ শিরোপা জয়ে আশাবাদী ছিল পানামা।
৮৫ মিনিটে হেনরি মার্টিনের স্থানে বদলী বেঞ্চ থেকে মাঠে নামার তিন মিনিটের মধ্যে মেক্সিকোর হয়ে জয়সূচক গোল করেন জিমেনেজ। ফেয়েনুর্ডের ২২ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার তখনই ম্যাচের নায়কে পরিণত হন।
ক্যালিফোর্নিয়ার সোফি স্টেডিয়ামে উপস্থিত ৭৩ হাজার সমর্থকের মধ্যে মেক্সিকানই ছিল বেশী। জিমেনেজের ১৮ আন্তর্জাতিক ম্যাচের চতুর্থতম এই গোলে পুরো স্টেডিয়াম উচ্ছাসে ভেসে ওঠে। ২০২৬ ইউএসএ, মেক্সিকো ও ক্যানাডা বিশ্বকাপের একটি ভেন্যু হিসেবে এই স্টেডিয়ামের নাম ঘোষণার ইঙ্গিত রয়েছে।
এর আগে ১৯৯৩, ১৯৯৬, ১৯৯৮, ২০০৩, ২০০৯, ২০১১, ২০১৫ ও ২০১৯ সালে গোল্ড কাপের শিরোপা জয় করেছিল মেক্সিকো। অ্যামেরিকা জিতেছে সাতটি শিরোপা। সেমিফাইনালে পানামার কাছে পেনাল্টি শ্যুট-আউটে পরাজিত হয়ে বিদায় নেয় স্বাগতিকরা।
মেক্সিকোর এই শিরোপা অন্তর্বর্তীকালীন কোচ জেমি লোজানোর জন্য একটি বড় স্বস্তির বার্তা উপহার দিয়েছে। কাতার বিশ্বকাপের পর নেশন্স লিগে মেক্সিকো চরম ব্যর্থ ছিল। ২০২১ সালে টোকিও অলিম্পিকে লোজোনোর অধীনে মেক্সিকো ব্রোঞ্জ পদক জয় করেছিল। গত মাসে কোচ দিয়েগো কোকা ছাঁটাই হলে দ্বিতীয়বারের মতো তার স্থলাভিষিক্ত হন লোজানো।