জাতিসংঘ কমান্ডের (ইউএনসি) ডেপুটি কমান্ডার সোমবার জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে সাউথ কোরিয়া থেকে অ্যামেরিকায় ফেরার পথে সিউল বিমানবন্দরে নেমে একটি ট্রাভেল গ্রুপের সঙ্গে সাউথ ও নর্থ কোরিয়ার মধ্যবর্তী এলাকায় ঘুরতে যান ট্র্যাভিস। এক পর্যায়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তিনি উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন।
জেনারেল অ্যান্ড্রু হ্যারিসন বলেছেন, কিংয়ের অপরাধটি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে ফলে তার পক্ষে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ সম্ভব হয়নি।
অ্যামেরিকান সেনাবাহিনীর বরাতে হ্যারিসন বলেন, কিং ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ও অনুমতি ছাড়াই’ সাউথ কোরিয়া ও নর্থ কোরিয়ার ডিএমযি অঞ্চল (ডি মিলিটারিয়ালাইজড জোন) পার হয়ে নর্থ কোরিয়ায় প্রবেশ করেন।
সিউল ফরেইন করেসপন্ডেন্টস ক্লাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমাদের কাছে একটি আলোচনার পথ খোলা আছে। ইউএনসি (ইউনাইটেড নেশন কমান্ড) ও কোরিয়ান পিপলস আর্মির মধ্যে যোগাযোগের জন্য একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে যোগাযোগের লাইন খোলা থাকে। এই আলোচনা জেএসএ তে অনুষ্ঠিত হয়। সেই আলোচনা প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।’
সাধারণত জেএসএ অঞ্চলে সাউথ ও নর্থ কোরিয়া যেকোনো আলোচনার জন্য মিলিত হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে হ্যারিসন বলেন, “আমি স্বীকার করছি যে উত্তরগুলো আমরা দেবো তা ‘হতাশাজনক’ তবে ‘আমার কথা বলার ক্ষেত্র সীমাবদ্ধ’।
‘আপনি যার জন্য মরিয়া হয়ে আছেন সে উত্তর নাও পেতে পারেন।’
আলোচনা প্রক্রিয়া এগোনোর সঙ্গে ইউএন কমান্ড, কিংয়ের ওয়েলফেয়ারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার কথা নিশ্চিত করেছে।
হ্যারিসন বলেন, ‘অবশ্যই, অনেক ওয়েলফেয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। স্পষ্টতই আমরা একটি খুব কঠিন ও জটিল পরিস্থিতিতে রয়েছি। আমি নর্থ কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তুর খুব গভীরে যেতে চাই না।’