এই নির্বাচনে স্পষ্ট হবে এরদোয়াঁর ২০ বছরের ক্ষমতার মেয়াদ আরও বাড়বে, নাকি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটি ফের সেক্যুলার পন্থার দিকে মোড় নেবে। এজন্য এবারের নির্বাচনকে ঐতিহাসিক হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে।
এবারে প্রেসিডেন্ট এরদোয়াঁকে কঠিন রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ৭৪ বছর বয়সী সেক্যুলার ও বামপন্থি রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী কেমাল কিলিচদারোলু। তার নেতৃত্বে একাট্টা হয়েছে সব বিরোধী দল।
তবে ১৭ শতাংশ ভোট গণনা শেষে দেখা গেছে এরদোয়া তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কিলিচদারোলুর চেয়ে বেশ কিছুটা ব্যবধানে এগিয়ে আছেন।
তুর্কিয়ের সরকারি বার্তা সংস্থা আনাদুলু জানায়, প্রাথমিক আনঅফিশিয়াল ফলে এরদোয়াঁ পেয়েছেন ৫৬.৬৭ শতাংশ ভোট, আর খুলুচদারুলুর ভোট ৩৭.৪১ শতাংশ।
আনাদুলু জানায়, রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৫টায় শেষ হয়। ধারণা করা হচ্ছে নির্বাচনে ৬৪ মিলিয়নের বেশি নাগরিক ভোট দিয়েছেন, এর মধ্যে প্রবাসী ভোটারের সংখ্যা ৩.৪ মিলিয়ন।
তুর্কিয়ের এই নির্বাচনে নতুন ভোটার ৪.৯ মিলিয়নের বেশি। এই নতুন ভোটাররাই দেশটির এবারের নির্বাচনে ফল নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রত্যেক ভোটার দুটি ভোট দিয়েছেন। এর একটি প্রেসিডেন্ট এবং অন্যটি ছয়শ আসনে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচনের জন্য।
ভোটের ফল স্থানীয় সময় রাত ৯টার আগে প্রকাশ করায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় গভীর রাত পর্যন্ত চূড়ান্ত ফল জানা যাবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ দফার ভোটে কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে ২৮ মে ফের রান অফ হবে।