তুর্কিয়ের ইস্তাম্বুলে শনিবার বৈঠক করেছেন যেলেন্সকি ও এরদোঁয়া। ছবি: আরটি
0
তুর্কিয়ের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোঁয়া বলেছেন, নেইটোয় যোগ দেয়ার ‘অধিকার’ রাখে ইউক্রেইন। তুর্কিয়ের ইস্তাম্বুলে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির যেলেন্সকির সঙ্গে শনিবার এক বৈঠক শেষে ওই দাবি করেন এরদোঁয়া।
লিথুয়ানিয়ায় আগামী সপ্তাহে নেইটো সম্মেলনের আগে এরদোঁয়ার ইউক্রেইনের প্রতি পক্ষপাতিত্ব রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধে নতুন সমীকরণ আঁকবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এরদোঁয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইউক্রেইন নেইটোর সদস্যপদ পাওয়ার যোগ্যতা রাখে এতে কোনো সন্দেহ নেই। আঙ্কারা বরাবরই কিয়েভের সঙ্গে সংহতি দেখিয়েছে ও শক্তিশালী সহায়তা দিয়েছে।’
ইউক্রেইনের প্রতি এরদোঁয়ার সমর্থনে অভিভূত যেলেন্সকি বলেছেন, ‘এরদোঁয়া নেইটোতে ইউক্রেইনের আমন্ত্রণের বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন। তাকে ধন্যবাদ।’
বৈঠক শেষে এরদোঁয়া মস্কো ও কিয়েভকে ‘যুদ্ধ থামিয়ে শান্তি প্রচেষ্টায় ফিরে আসার’ আহ্বান জানান। তিনি দাবি করেন, দুই দেশের মধ্যে শান্তি আলোচনার মাধ্যমে সংঘাতের অবসান ঘটাতে গত বছর ‘সর্বোচ্চ চেষ্টা’ করেছে তুর্কিয়ে। তবে শেষ পর্যন্ত আলোচনাটি ব্যর্থ হয়েছে।
এরদোঁয়া বলেন, ‘একটি যথাযথ শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে, কারও পরাজয় ঘটে না।’
যেলেন্সকির সঙ্গে বৈঠকে তুর্কিয়ে প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি তার রাশিয়ান প্রতিপক্ষ ভ্লাদিমির পুতিনকে আগামী আগস্টে আলোচনার জন্য তুর্কিয়েতে স্বাগত জানাবেন।
ইউক্রেইন সংঘাতের মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে ব্ল্যাক সি পোর্ট দিয়ে খাদ্যপণ্য পরিবহনের জন্য ডিজাইন করা একটি শস্য রপ্তানি চুক্তি বাস্তবায়নেরও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এরদোঁয়া বলেন, ‘আমরা আশা করছি চুক্তির ফলে প্রতি দুই মাসে না হলেও প্রতি তিন মাসে অন্তত একবার তুর্কিয়ের খাদ্য শস্য পরিবহন বাড়াবে রাশিয়া। আমরা এ বিষয়ে চেষ্টা করব এবং চুক্তির মেয়াদ দুই বছর বাড়ানোর চেষ্টা করব।’
এর আগে ক্রেমলিন শুক্রবার জানিয়েছিল, তারা যেলেন্সকি ও এরদোঁয়ার মধ্যে বৈঠকটি ‘খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে’। দুই নেতা কী আলোচনা করেন তা জানার ‘আগ্রহ’ থাকবে রাশিয়ার।