এতে স্থান পেয়েছে তিন সৌদি আলোকচিত্রীর ছবি ও ২৬ শিল্পীর শিল্পকর্ম।
ইসলামিক আর্ট মিউজিয়াম ও ওয়ুন জেদ্দা চ্যারিটি অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় প্রদর্শনীটি জেদ্দা পার্কের তেরহাল হলে শুরু হয়েছে সোমবার, চলবে ২৩ জুন পর্যন্ত।
প্রদর্শনীতে ফটোগ্রাফ, পেইন্টিং থেকে শুরু করে বই, পাণ্ডুলিপি এবং অন্যান্য মূল্যবান নিদর্শনসহ ১০০টিরও বেশি শিল্পকর্ম রয়েছে। বিশ্বজুড়ে হজযাত্রীদের নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিত করতে সৌদি আরবের প্রতিশ্রুতি, সেইসঙ্গে হজযাত্রীদের সুবিধার্থে দেশটির বাস্তবায়ন করা বিভিন্ন উদ্যোগকে তুলে ধরা এর অন্যতম উদ্দেশ্য।
মধ্যযুগ থেকে অটোমান যুগ এবং বর্তমান পর্যন্ত হজযাত্রাকে উপস্থাপন করা হয়েছে প্রদর্শনীতে। ঐতিহাসিক ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর হিসেবে মক্কাকে উপস্থাপন করাও এর অন্যতম উদ্দেশ্য। সেইসঙ্গে মুসলিমদের রিচুয়ালের শৈল্পিক উপস্থাপনা, কাবাকে যে গিলাফ পরানো হয়েছিল সেটি এবং মসজিদুল হারামের কতগুলো ড্রোন-শট ফটোগ্রাফও রয়েছে প্রদর্শনীতে।
ক্রিয়েটিভিটি জোন ফাউন্ডেশনের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট কনসালট্যান্ট এবং প্রদর্শনীর সংগঠক জুহাইর মাইমানি বলেন, ‘এই প্রদর্শনীটি মক্কার অবস্থা, হজের তাৎপর্য এবং বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের জীবনে এর প্রভাব তুলে ধরেছে। অমুসলিমদের মাঝে ইসলাম সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি আনতেও এটি অবদান রাখবে।’
হজের ফটোগ্রাফগুলো তুলেছেন তিন সৌদি ফটোগ্রাফার অধ্যাপক খালেদ খাদের, অধ্যাপক সুসান বাখিল এবং ইমাদ আল-হুসেইনি। সৌদি আরবের প্রথম পেশাদার অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী ফটোগ্রাফার বাখিল বলেন, ‘হজ সম্পর্কে অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি এবং স্থানীয় লেন্স দিয়ে তা উপস্থাপন করতে পেরে আমরা গর্বিত।’
বাখিল জানান, ২০০২ সাল থেকে ধারণ করা ছবিগুলো প্রদর্শন করে তিনি মক্কায় বর্তমানে যে উন্নয়ন হয়েছে তা উপস্থাপন করতে চেয়েছেন।
দর্শকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে স্থানীয় জিনিসপত্র, বিভিন্ন বস্তু, ফটোগ্রাফ এবং শিল্পকর্ম ছাড়াও এ প্রদর্শনীতে ইসলামিক লাইভ ক্যালিগ্রাফি ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়েছে।
দর্শনার্থীদের জন্য ‘জার্নি থ্রু দ্য হলি সাইটস’ প্রদর্শনী সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে।