চিঠিগুলো এসেছে সাউথ ইস্টার্ন ও ইস্টার্ন মেলবোর্নের ঠিকানায়। পুলিশ বলছে, যারা এ ঘটনার ভিক্টিম তারা টার্গেটেড অ্যাটাকের শিকার হয়েছেন।
চিঠি পাওয়া সবাই ১৯৯৯ সালে মেলবোর্ন সিটির কিলব্রেডা কলেজ প্রাইভেট গার্ল’স স্কুলে পড়তেন। ক্যাথলিক এই স্কুল ১৯০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
পুলিশ বলছে, বেশির ভাগ ভিক্টিম একাধিক চিঠি পেয়েছেন এবং প্রতিটি চিঠির খামে ব্যবহৃত কনডম ছিল।
ডিটেক্টিভ অ্যাক্টিং সিনিয়র সার্জেন্ট গ্রান্ট লুইস জানান, অপরাধীকে খুঁজে বের করার জন্য তদন্তকারীরা ডিএনএ ও হাতের লেখা বিশ্লেষণ করছেন।
তিনি আরও জানান, চিঠি পাওয়া সব নারীর ঠিকানা ২৪ বছর আগের একটি ইয়ারবুক থেকে নেয়া হয়েছে।
চিঠিগুলোর কিছু হাতে লেখা, কিছু টাইপ করা। তবে সবগুলো চিঠির বার্তা অভিন্ন। এতে হুমকি এবং যৌনতামূলক বার্তা দেয়া হয়েছে।
বেশির ভাগ চিঠিই ওল্ডেজ হোমের ঠিকানা অনুযায়ী সাবেক ছাত্রীদের বাবা-মায়ের কাছে পৌঁছায়। ফলে বিষয়টি নিয়ে বাড়তি উদ্বেগে ভুগতে হয়েছে অভিভাবকদের।
স্কুলের প্রিন্সিপাল সান নিউযপেপারকে জানান, তদন্তে পুলিশকে সহায়তার অনুরোধ জানিয়ে তিনি সাবেক ছাত্রীদের কাছে চিঠি লিখেছেন। তবে ঘটনাটির সঙ্গে সম্প্রতি কলেজের ঘটে যাওয়া ডেটা লঙ্ঘনের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।’
পুলিশের ধারণা, অপরাধী ওই স্কুলেরই কোনো সাবেক শিক্ষার্থী বা কর্মচারী হতে পারেন। এমনকি এমনও হতে পারে ইয়ারবুকটি কোনো আবর্জনার স্তূপে খুঁজে পাওয়ার পর কেউ এমন নোংরামি করছেন।
অপরাধীর প্রতি বার্তা দিয়ে পুলিশ বলেছে, ‘আপনাকে এটি বন্ধ করতে হবে এবং আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব।’