ইটালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বারলুসকোনির প্রয়াণ

টিবিএন ডেস্ক

জুন ১২ ২০২৩, ১০:১৭

ইটালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বারলুসকোনি। ফাইল ছবি

ইটালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বারলুসকোনি। ফাইল ছবি

  • 0

ইটালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশটির অন্যতম ক্যারিশম্যাটিক ও বিতর্কিত নেতা নেসিলভিও বারলুসকোনি ৮৬ বছর বয়সে মারা গেছেন।

লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত বারলুসকোনি গত এপ্রিলে হাসপাতালে ভর্তি হন। রয়টার্স জানিয়েছে, সম্প্রতি তিনি ফুসফুসের সংক্রমণেও আক্রান্ত হন।

দেশটির প্রতিরক্ষা প্রধান গুইডো ক্রসেটো এক টুইটে বার্লুসকোনির প্রশংসা করে বলেন, তার মৃত্যু একটি বিশাল শূন্যতা তৈরি করেছে, কারণ তিনি ছিলেন এক মহান ব্যক্তিত্ব। তার মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে একটি যুগের পরিসমাপ্তি ঘটল।

চলতি বছরের এপ্রিলে বারলুসকোনির লিউকেমিয়া ধরা পরে। সে সময় বেশ কিছুদিন হাসপাতালে ছিলেন তিনি। এরপর চেক আপের জন্য গত শুক্রবার মিলানের একটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।

রাজনীতিতে বারলুসকোনিকে কিংমেকার হিসেবে বিবেচনা করা হতো। তিনি ইটালির রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছেন। তিনি দেশটির সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তার ডানপন্থি দল এখনও জর্জিয়া মেলোনির নেতৃত্বে ক্ষমতায় রয়েছে।

বারলুসকোনি জাহাজের ক্রু হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি নির্মাণ ও রিয়েল এস্টেটের ব্যবসাও করেছেন। এছাড়া টেলিভিশন নেটওয়ার্ক, নিউজপেপার, পাবলিশিং হাউজকেন্দ্রিক বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন তিনি।

১৯৯০ এর দশকের শুরুর দিকে ঘুষ কেলেঙ্কারির জন্য ইটালির রাজনৈতিক অঙ্গনে শূন্যতার সৃষ্টি হয়। সেই শূন্যস্থানের মাঝে রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি। তিনি ১৯৯৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসেন। ১৯৯৪ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে প্রায় নয় বছর দেশ শাসন করেছেন তিনি।

২০১১ সালে দেশটি ঋণ সংকটে পরার পর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান বারলুসকোনি। এর তিনি ৮২ বছর বয়সে আবার রাজনীতিতে ফেরেন এবং গত বছর সেনেট সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৯০ এর দশকে সিসিলিয়ান মাফিয়ার তদন্তে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ার জন্য তিনি আইনি জটিলতায় পড়েন। নানা ধরনের স্ক্যান্ডালেও জড়িয়ে পড়েন বারলুসকোনি। তার বিরুদ্ধে একাধিকবার দুর্নীতি, অশ্লীলতা, হাশ মানি দেয়ার অভিযোগ উঠে। তবে সব অভিযোগ কাটিয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করেছিলেন তিনি।

বিভিন্ন বিতর্কের পরেও তিনি ইটালিতে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। বিদেশি ভাষ্যকাররা এই রহস্য এখনও খুঁজে বের করতে পারেনি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও লিবিয়ার প্রয়াত নেতা মোয়াম্মার গাদ্দাফির সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন