বর্তমানে অনেকেই ওজন কমানোর উপায় হিসেবে চিনির বিকল্প হিসেবে জিরো ক্যালোরি ব্যবহার করছেন। তবে সোমবার ডব্লিওইওএইচওর এক পরামর্শে বলা হয়, যারা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে জিরো ক্যাল ব্যবহার করছেন তাদের এটা বন্ধ করা উচিত।
ডব্লিওএইচওর পর্যবেক্ষণ বলছে, অ্যাসপার্টাম ও স্টিভিয়ার মতো কৃত্রিম বা প্রাকৃতিক জিরো ক্যাল প্রকৃতপক্ষে শিশু বা প্রাপ্তবয়স্ক কারোরই দীর্ঘমেয়াদে ওজন কমাতে কোনো কাজে আসে না। এতে বরং কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি বাড়ে। ডব্লিওএইচও সতর্ক করে বলেছে, জিরো ক্যাল প্রাপ্তবয়স্কদের মাঝে টাইপ টু ডায়াবেটিস, এমনকি মৃত্যঝুঁকিও বাড়াতে পারে।
ডব্লিওএইচওর ডিরেক্টর ফ্রান্সেসকো ব্রাংকা এক বিবৃতিতে বলেন, সুগার ফ্রি এনএসএস দীর্ঘমেয়াদে ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে না। এজন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে অন্য উপায়গুলো ব্যবহার করা উচিত। যেসব খাবারে প্রাকৃতিকভাবে শর্করা থাকে যেমন ফল বা মিষ্টিহীন খাবার ও পানীয় গ্রহণ করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘এনএসএস অত্যাবশ্যকীয় কোনো খাদ্যতালিকার অন্তর্ভুক্ত নয় এবং এর কোনো পুষ্টিগুণও নেই। মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য জীবনের শুরুর দিকেই খাদ্যে মিষ্টির পরিমাণ কমিয়ে আনা উচিত।’
কোমল পানীয় ও প্রক্রিয়াজাত খাবারে এনএসএস-এর ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতো ফেডারেল রেগুলেটরি এজেন্সিগুলো জিরো ক্যালের মতো কৃত্রিম মিষ্টিকে নিরাপদ মনে করলেও এর দীর্ঘ মেয়াদে স্বাস্থ্যগত প্রভাব সম্পর্কে খুব কম তথ্য রয়েছে।
হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে প্রতিদিনের ডায়েটে চিনি কমানোর পরামর্শ দেয় অ্যামেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন। সেই সঙ্গে তারা বিভিন্ন ধরনের ফল ও শাকসবজির মতো খাবারের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।
এবিসি নিউজের চিফ মেডিকেল করেসপন্ডেন্ট চিনি সম্পর্কে বলেন, ‘আমাদের কোষগুলোর কাজ করার জন্য গ্লুকোজ প্রয়োজন। তাই এটি সম্পূর্ণ খারাপ নয়।’
তিনি মনে করেন, রুটি ও দইয়ের মতো খাবার স্বাস্থ্যকর হতে পারে। তবে সেগুলোতে বেশি চিনি থাকতে পারে বলে কেনার সময় লেভেল চেক করা উচিত।
যাদের ওজন বেশি তারা ক্যানসার, হৃদরোগ, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ, পিত্তথলির রোগ, মানসিক রোগসহ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকেন।