গ্রীষ্মমণ্ডলীয় সাইক্লোন এবং বিধ্বংসী ঝড়ের বিষয়ে পূর্বাভাস আরও উন্নত করতে সাহায্য করবে স্যাটেলাইট দুটি।
অস্ট্রেলিয়ার এবিসি নিউয জানায়, অ্যামেরিকান কোম্পানি রকেট ল্যাব নির্মিত রকেটে এই দুটি স্যাটালাইটকে কক্ষপথে পাঠানো হয়। এর আগের স্টর্ম ট্র্যাকারগুলো ছয় ঘণ্টা পর পর সাইক্লোনের বার্তা দিলেও নতুন এই স্যাটেলাইট প্রতি ঘণ্টায় সাইক্লোন, হারিকেন বা টাইফুনের তথ্য জানাতে সক্ষম।
ট্রপিক্স (টাইম-রিযল্ভড অবযারভেশনস অফ পারসিপিটেশন স্ট্রাকচার অ্যান্ড স্টর্ম ইন্টেনসিটি উইথ অ্যা কন্সটেলেশন অফ স্মলেস্ট) মিশন বিষয়ে নাসার বিজ্ঞানী উইল ম্যাককার্টি সংবাদ সম্মেলনে জানান, এই স্যাটেলাইটের সাহায্যে আবহাওয়া গবেষকেরা প্রতি ঘণ্টায় ঝড়ের বিবর্তন দেখতে সক্ষম হবেন।
ম্যাককার্টি বলেন, ‘আমাদের এখনও বড় স্যাটেলাইটের সাহায্য প্রয়োজন হবে। ছোট স্যাটেলাইট দুটির সাহায্যে আমাদের ইতোমধ্যে কক্ষপথে থাকা ফ্ল্যাগশিপ স্যাটেলাইটগুলোতে আরও তথ্য যোগ করা যাবে।’
এসব স্যাটেলাইটের দেয়া তথ্য থেকে বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতার তথ্যের উপর নির্ভর করে বিজ্ঞানীরা একটি হারিকেন স্থলভাগের কোথায় আঘাত হানবে এবং তার প্রভাব কতটা তীব্র হবে তা প্রায় নিশ্চিতভাবে অনুমান করতে পারবেন। উপকূলীয় অঞ্চলের বসবাসকারীদের জন্যও আগাম সতর্কতা জারি করতে পারবে আবহাওয়া অফিস।
নাসার প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ বেন কিম বলেন, ‘ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার এবং যয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টারের মতো আরও অনেক সংস্থা তাদের আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানাতে স্যাটেলাইটের দেয়া ফুটেজ বিশ্লেষণের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’
রকেট ল্যাব নির্মিত আরও দুটি স্যাটেলাইট দুই সপ্তাহের মধ্যে উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিচ্ছে নাসা। এর ফলে চারটি স্যাটেলাইটের সমন্বয়েস্টর্ম ট্র্যাকারের কন্সটেলশন পূর্ণ হবে।