এসব ঘটনায় গত ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ১৮১ দিনে ১৪০ জন নিহত হয়েছেন। কেউ প্রাণ হারিয়েছেন দুর্বৃত্তের হামলায়, কারও মৃত্যু হয়েছে পরিচিতজনের হাতে।
নিহতদের মধ্যে শিশু থেকে বৃদ্ধ- সব বয়সী মানুষ আছে।
নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
তাতে দেখা গেছে, ২৮ ঘটনার একটি ছাড়া বাকি সবগুলোই ছিল আগ্নেয়াস্ত্র হামলা। এর আগের রেকর্ডটি ছিল গত বছর। সে বছরের শেষ ছয় মাসে ২৭টি ম্যাস কিলিং ঘটে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবছরের ভয়াবহতা আগের সব মাত্রা অতিক্রম করেছে।
নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ক্রিমিনোলজির প্রফেসর অ্যালান জেমস ফক্স বলেন, ‘আমরা আগে বছরে দুই থেকে তিন ডজন সহিংসতার খবর নথিভুক্ত করতাম। তবে চলতি বছরের প্রথমার্ধে ইতোমধ্যে ২৮টি ঘটনা আমাদের শঙ্কিত করছে। এই পরিসংখ্যান অ্যামেরিকার জন্য ভীতিকর।’
অবশ্য বছরের শেষ নাগাদ শুরুর ভয়াবহতা কমতে পারে বলে আশা করছেন অনেকে।
ডেভিসের ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার ভায়োলেন্স প্রিভেনশন রিসার্চ প্রোগ্রামের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর সাইকিয়াট্রিস্ট অ্যামি বার্নহর্স্ট বলেন, ‘আশা করি এটি কেবল একটি ব্লিপ ছিল। হত্যাকাণ্ডের মতো ভয়াবহ ঘটনাগুলো ২০২৩ সালের শেষ অংশে আরও কমে আসতে পারে। হতে পারে ফোর্থ জুলাইয়ের (সহিংসতার) ঘটনাগুলো কোনো প্রবণতার অংশ ছিল। তবে আমরা এখনই কিছু বলতে পারব না। বছর শেষের অপেক্ষা করতে হবে।’
ফক্স ও বার্নহর্স্টের মতো অপরাধ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অ্যামেরিকায় আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার যত বাড়ছে, তত বেশি ঘটছে এ ধরনের সহিংসতা।
তাদের মতে, ম্যাস কিলিংয়ের জন্য অ্যামেরিকায় আলাদা কোনো পরিসংখ্যান বা ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থা নেই। সামগ্রিকভাবে আগ্নেয়াস্ত্র সহিংসতার অংশ হিসেবেই এটিকে ধরা হয়। ফলে ম্যাস কিলিংয়ের ভয়াবহতা প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রকাশ পায়।
ফক্স বলেন, ‘আমাদের এটিকে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতে হবে। ম্যাস কিলিংকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা উচিত।’