সিঙ্গাপুরের টিভি চ্যানেল সিএনএকে দেয়া সাক্ষাৎকারে শুক্রবার একথা বলেন তিনি। জানান, দুই পরাশক্তির মধ্যে চলমান প্রতিযোগিতা যেন সংঘাতে রূপ না নেয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
স্টেইট অফ সেক্রেটারি জানান, নানা মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও এ সম্পর্ক দায়িত্ব নিয়ে পরিচালনার চেষ্টা করে যাচ্ছে অ্যামেরিকা ও চায়না। পারস্পরিক স্বার্থ ছাড়াও অন্যান্য দেশের স্বার্থ জড়িত, এমন ইস্যুগুলোর ক্ষেত্রে দুই দেশকেই সহযোগিতা করতে হবে।
চায়নার কাছে অ্যামেরিকা তার প্রভাব হারাচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ব্লিনকেন বলেন, ‘এটি চায়না বা অন্য কোনো দেশের উপর এককভাবে প্রভাব বিস্তার করার বিষয় নয়। নিজ যোগ্যতায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে অ্যামেরিকা যুক্ত রয়েছে।’
অ্যামেরিকার সঙ্গে গত দুই বছরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সম্পর্ক আরও গভীর ও শক্তিশালী হয়েছে আশিয়ানের মাধ্যমে- এমন মনে করেন ব্লিনকেন।
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অবকাঠামো এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্যখাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে আরও সম্পৃক্ত হতে আগ্রহী অ্যামেরিকা।’
এর আগে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দেন অ্যান্টনি ব্লিনকেন। সেখানে মিয়ানমার সংকট সমাধানে দেশটির ওপর চাপ বাড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।
সেক্রেটারি অফ স্টেইট অ্যান্টনি বলেন, ‘আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে ঝুঁকিতে ফেলে মিয়ানমারের সামরিক শাসকরা নিপীড়ন চালিয়ে আসছেন। এ কারণে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
সাউথ চায়না সাগরে আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে চলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে অ্যামেরিকা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানিয়েছেন ব্লিনকেন।
তিনি জানান, অ্যামেরিকাকে লক্ষ্য করে কোনো ধরনের নেতিবাচক পদক্ষেপ নেয়া হলে সেটি প্রতিহত করার বার্তা চায়নাসহ অন্যান্য দেশকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।