গোপনীয় নথির অপব্যবহার সংক্রান্ত ৩৭টি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন ট্রাম্প। এগুলোর মধ্যে রয়েছে গোপনীয় তথ্য সংরক্ষণ, ন্যায়বিচারে বাধা দেয়া এবং মিথ্যা বিবৃতি দেয়া।
অভিযোগ অনুযায়ী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘অ্যামেরিকার পারমাণবিক অস্ত্র’ এবং ‘বাইরের দেশের পারমাণবিক সক্ষমতা’ সম্পর্কিত নথিপত্র রাখাসহ হোয়াইট হাউসের গোয়েন্দা ব্রিফিং রয়েছে। এর মধ্যে কিছু নথিতে অ্যামেরিকা এবং অন্যান্য দেশের সামরিক সক্ষমতার বিবরণ রয়েছে।
প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেছেন ট্রাম্প যাদের নথিগুলো দেখিয়েছিলেন তাদের সেগুলো দেখার সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স ছিল না। ট্রাম্পকে নথিগুলো খুঁজে ফেডারেলকে ফেরত দিতে বলার পর তিনি নিজের আইনজীবীদের কাছ থেকেও নথিগুলো গোপন করার চেষ্টা করেন।
এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগে ট্রাম্পের ২০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
দ্য জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট শুক্রবার অভিযোগগুলো এনেছে।
দক্ষিণ ফ্লোরিডায় মঙ্গলবার আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে ট্রাম্পের। প্রক্রিয়াটি কেমন হবে তা এখনই পরিষ্কারভাবে বলা যাচ্ছে না।
ট্রাম্পের আইনজীবী বলেছেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দ্য অ্যাসপিওনজ অ্যাক্ট লঙ্ঘন, ন্যায়বিচারে বাধা এবং ষড়যন্ত্রসহ সাতটি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে দোষী সাব্যস্ত হলে এর মধ্যে কোনো অপরাধই ট্রাম্পের অফিসে যাওয়া আটকাবে না।
ট্রায়াল চলতে এখন অনেক মাস লেগে যাবে এবং ট্রাম্প এ সময়ে অবাধে নির্বাচনি প্রচার চালাতে পারবেন।
অ্যামেরিকান সংবিধানে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের জন্মগত অ্যামেরিকান নাগরিক হওয়া এবং বয়স কমপক্ষে ৩৫ বছর এবং ১৪ বছর ধরে অ্যামেরিকায় বসবাসের শর্ত শুধু রয়েছে।
ট্রাম্প বৃহস্পতিবার তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে দাবি করেছেন, তিনি নিরপরাধ। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন অপরাধী হিসেবে কারাগারে পাঠানো হলেও তিনি প্রচার চালাতে পারবেন এবং জেলে গেলেও প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার শপথ গ্রহণে বাধা দেয়ার কোনো উপায় থাকবে না। যদিও এতে লজিস্টিক্যাল এবং নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রশ্ন থাকে।
এ ব্যাপারে ট্রাম্পের সঙ্গে ভোটারদের সম্পর্কের উপর প্রভাব এখনও স্পষ্ট নয়। নিউ ইয়র্কে মার্চ মাসে আলাদা মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পরে ট্রাম্পের পক্ষে সমর্থন বেড়েছে এবং তিনি রিপাবলিকান মনোনয়নের জন্য আরও এগিয়ে গেছেন।
নিউ ইয়র্ক মামলার পরপর তার তহবিল সংগ্রহের পরিমাণ বেড়েছে। অভিযোগটি জনসম্মুখে প্রকাশের পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কমপক্ষে ৪ মিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহ হয়েছে এবং ট্রাম্পের মার-এ-লাগো ক্লাবে এফবিআইয়ের অনুসন্ধানের পরে তার আগের রেকর্ডটিও ভেঙে দিয়েছে।
ট্রাম্প মামলা এবং তদন্তকে তহবিল সংগ্রহের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করেছেন। সমর্থকদের তিনি বলেছেন তিনি আক্রমণের শিকার এবং সমর্থকদের সাহায্যের প্রয়োজন। ট্রাম্পের প্রচার থেকে এপ্রিলে জানানো হয়েছে নিউ ইয়র্কে অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পরে সমর্থকদের অনুদান বেড়েছে।