
বেলগোরোডে হামলাকারীদের পরাস্ত করার দাবি রাশিয়ার

টিবিএন ডেস্ক
মে ২৩ ২০২৩, ২১:২০

টেলিগ্রাম থেকে বিবিসির যাচাই করা ফুটেযে একটি হেলিকপ্টারকে ওই এলাকার ওপর দিয়ে উড়তে দেখা গেছে।
- 0
ইউক্রেইন থেকে সীমান্ত পেরিয়ে রাশিয়ার বেলগোরোড অঞ্চলে হামলা অব্যাহত আছে।
তবে হামলাকারীদের পরাজিত করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার দাবি করেছে মস্কো।
যুদ্ধের কারণে এলাকা ছেড়ে পালানো বাসিন্দাদের আপাতত বাড়িতে না ফেরার বিষয়েও সতর্ক করেছে রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ।
সীমান্ত পেরিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলার সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে ইউক্রেইন দাবি করেছে, দুটি আধা সামরিক গ্রুপ এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
বেলগোরোডের গভর্নর ব্যাচেস্লাভ গ্ল্যাডকভ মঙ্গলবার জানান, বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে বহু লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে আহত দুজন বেসামরিক নাগরিক আছেন। তাদেরকে এখনই এলাকায় ফিরে না যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
গ্ল্যাডকভ দাবি করেন, বিভিন্ন ভবনে রাতভর হামলা চালানো ড্রোনগুলোকে গুলি করে ভূপতিত করেছে রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী। রাশিয়ার দাবি, হামলাকারী দলের অন্তত ৭০ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে।
ইউক্রেইন সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত স্যাবোট্যায গ্রুপ বেলগোরোডের গ্রেইভোরনস্কি শহরে হামলা চালায় বলে দাবি করেন গ্ল্যাডকভ। সংঘর্ষে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি, তবে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইউক্রেইনের কর্মকর্তারা বলছেন, এ হামলা চালিয়েছে ‘ফ্রিডম অফ রাশিয়া লিজিয়ন’ ও ‘রাশিয়ান ভলান্টিয়ার কর্পস’ (আরভিসি) নামের দুটি গ্রুপ।
অন্যদিকে, হামলার দায় স্বীকার করে ‘ফ্রিডম অফ রাশিয়া লিজিয়ন’ ও ‘রাশিয়ান ভলেন্টিয়ার কর্পস’ এক টেলিগ্রাম পোস্টে জানায়, প্রথম দল হিসেবে তারা গ্রেভোরনে ঢুকে বেলগোরোড অঞ্চলের কোজিনকা বসতি মুক্ত করছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে উৎখাতে তৎপরতা চালাচ্ছে ইউক্রেনভিত্তিক রাশিয়ান মিলিশিয়া গ্রুপ ‘ফ্রিডম অফ রাশিয়া লিজিয়ন’।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় ইউক্রেইনের স্যাবোট্যায গ্রুপের হামলায় আহত ৩
ইউক্রেইনে রাশিয়ার সেনা অভিযান শুরুর ১৫ মাস পর সোমবার নিজ ভূখণ্ডে বড় ধরনের নিরাপত্তা সংকটের মুখে পড়ল মস্কো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাশিয়ান বাহিনীর ‘মোপিং আপ’ নামে একটি অভিযান শুরু করেছে। বেলগোরোডে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং জনগণের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘ইউক্রেইনে বহু রাশিয়ান বাস করলেও আদতে তারা ইউক্রেইনের জঙ্গি। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাখমুত থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেয়া।’
রাশিয়ান মার্সিনারি ওয়াগনার গ্রুপের দাবি, কয়েক মাস ধরে চলা রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর সম্প্রতি বাখমুত শহরটির নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে তারা।