ডেযমন্ডের বিরুদ্ধে নির্যাতন, হেনস্তা, পুলিশের কাজে হস্তক্ষেপসহ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে। মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় ওই যুবক এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জামাতে অংশ নিতে বুধবার কানেটিকাটের হার্টফোর্ড সিটির এক্সেল সেন্টারে জড়ো হন প্রায় সাত হাজার মুসল্লি। নামাজ পড়তে বোন ও বাচ্চাদের নিয়ে সেখানে যান কানেটিকাটের স্টেইট রেপ্রেযেন্টেটিভ মারিয়ম খান।
পুলিশ জানায়, নামাজ শেষে কোলাকুলি ও শুভেচ্ছা বিনিময় করছিলেন মুসল্লীরা। এমন সময় এক্সেল সেন্টারে ঢুকে মারিয়ম খানকে জড়িয়ে ধরে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেন আন্দ্রে ডেযমন্ড নামের এক যুবক। ব্যর্থ হয়ে ঘুষি মেরে মারিয়ামকে মেঝেতে ফেলে দেন তিনি। এরপর মুসল্লীরা আটকের পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
হার্টফোর্ডের মেয়র লুক ব্রোনিন বলেন, ঈদের দিন মুসলিম রাজনীতিকের ওপর হামলার ঘটনায় কমিউনিটিজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
আদালতে হাজির করার পর ডেযমন্ডের বিরুদ্ধে নির্যাতন, হেনস্তা, পুলিশের কাজে হস্তক্ষেপসহ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে নিউ ইয়র্ক ও ওয়াশিংটন ডিসিতে ডাকাতি ও হেনস্তার মতো অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে ডেযমন্ডের বিরুদ্ধে। নিউ ইয়র্কের কুইন্স বাস স্টপে এক বয়স্ক ব্যক্তিকে ঘুষি মারার ঘটনায় তিনি গ্রেফতারও হয়েছেন।
কানেটিকাটের ডেমোক্র্যাটিক হাউয স্পিকার ম্যাট রিটার বলেন, ‘মরিয়ম খান একজন দুর্দান্ত রাজনীতিক ও অসাধারণ সহকর্মী। তার সঙ্গে এ ধরণের ঘৃণ্য আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
ব্লাক ও ল্যাটিনো ককাসের সদস্যরা এ ঘটনাকে হেইট ক্রাইম আখ্যা দিয়েছেন। তবে ডেযমন্ডের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী হামলার কোনো অভিযোগ আনা হয়নি। পুলিশের ধারণা, মানসিক অসুস্থতার কারণেই ডেযমন্ড এ হামলা করেছেন।