সেনাবাহিনী (এসএএফ) ও আধা সামরিক বাহিনী -র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে যুদ্ধবিরতি চলাকালে নিরাপত্তার স্বার্থে সুদান থেকে নাগরিকদের ফিরিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন রাষ্ট্র। সেই পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশও।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সুদানে প্রায় ১৫০০ বাংলাদেশি আছে বলে আমরা ধারণা করছি এবং এ পর্যন্ত (সুদানে বাংলাদেশি দূতাবাসে) ৭০০ বাংলাদেশি নিবন্ধিত হয়েছেন। দেশে ফিরিয়ে আনতে আমি অন্যদের নিবন্ধিত হতে আহ্বান জানাচ্ছি।’
সুদান থেকে বাংলাদেশিদের প্রত্যাবাসন পরিকল্পনা নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে রোববার তিনি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু বাংলাদেশি-যারা এখন সুদানে বসবাস করছেন, তারা হয়ত সেই যুদ্ধবিধ্বস্ত আফ্রিকান দেশে ফিরে যাওয়া বা দ্বিতীয় কোন দেশে যাওয়ার কথা ভাবছেন। কিন্তু এটা তাদের জন্য সহজ হবে না… যেহেতু (বাংলাদেশ) সরকার সহায়তা দিচ্ছে, তাই তাদের নিজেদের নিরাপত্তা ও পরিবারের স্বার্থে সুদান ছেড়ে যাওয়ার জন্য নাম নিবন্ধন করা উচিত।’
তিনি জানান, বাংলাদেশি নাগরিকদের ২ বা ৩ মে বাসে করে খার্তুম থেকে পোর্ট সুদানে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে সৌদি আরবের মালিকানাধীন জাহাজের মাধ্যমে সমুদ্রপথে জেদ্দায় নেয়া হবে।
সেদেশে বাংলাদেশ দূতাবাস এরইমধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকদের খার্তুম ও আশপাশের শহর থেকে পোর্ট সুদানে নেয়ার জন্য ৯টি বাসের ব্যবস্থা করেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'খার্তুম থেকে ৭০০ বাংলাদেশিকে একসঙ্গে পোর্ট সুদানে নেয়া যাবে। আমরা আশা করছি যে বাংলাদেশিরা পোর্ট সুদানে পৌঁছানোর পরদিন জেদ্দায় পৌঁছাবে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, পাসপোর্ট নেই এমন বাংলাদেশিদের জেদ্দায় পৌঁছানোর জন্য দ্রুতই ভ্রমণের কাগজপত্র দেয়া হবে। এই পুরো প্রক্রিয়ায় প্রত্যেক বাংলাদেশি নাগরিককে খাবার ও কিছু টাকা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেদ্দা থেকে তাদেরকে পরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কয়েকটি ফ্লাইটে দেশে নেয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'সৌদি আরব সরকার আশ্বস্ত করেছে যে-তারা জেদ্দায় বাংলাদেশি নাগরিকদের আশ্রয়ের জন্য হোটেলের ব্যবস্থা করবে। এ পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সহায়তায় সুদান থেকে ৩৫ বাংলাদেশিকে সরিয়ে আনা হয়েছে। নিবন্ধিত সবশেষ বাংলাদেশিকে সরিয়ে না আনা পর্যন্ত সুদানে বাংলাদেশ মিশনের কর্মীরা সে দেশ ত্যাগ করবে না।