ন্যাশনাল ওমেন্স সকার লিগের (এনডব্লিউএসএল) মৌসুম শেষে ওএল রেইন থেকেও আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নেবেন ৩৮ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়।
বিশ্বকাপের আগে টিম ইউএসএ টানা তৃতীয় শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ায় রোববার শেষ ম্যাচে ওয়েলসের বিপক্ষে খেলেছে তারা।
ম্যাচের আগে ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান জোসে র্যাপিনো বলেন, ‘এভাবে সবকিছু করতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ… আমি বুঝতে পারি যে ক্রীড়াবিদদের পক্ষে তাদের নিজস্ব উপায়ে, নিজস্ব শর্তে, তারা যে সময়ে চান, সেভাবে অবসর নেয়াটা বিরল। তাই এখনই এটা করতে চেয়েছি। নিউ জিল্যান্ডে যাওয়ার আগে ব্যাপারটিকে এড়িয়ে যেতে চাই কেননা আমাদের লক্ষ্য এখন আরেকটি বিশ্বকাপ জয়।’
ফ্রান্সের ২০১৯ বিশ্বকাপে ছয়টি গোল করেছিলেন র্যাপিনো। ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২-০ গোল জয়ে একটি পেনাল্টিও ছিল। অ্যাসিস্ট করেছিলেন তিনটি। সেরা খেলোয়াড় হিসেবে জিতে নেন গোল্ডেন বুট ও গোল্ডেন বল।
২০১৯ সালে দুর্দান্ত খেলার জন্য ব্যালন ডি’অর এবং বেস্ট ফিফা ওমেন্স প্লেয়ারের অ্যাওয়ার্ড ঘরে তোলেন র্যাপিনো।
ইউএস নারী টিমের হয়ে অ্যাবি ওয়াম্বাচের সঙ্গে মিলে সর্বকালের তৃতীয় সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট র্যাপিনোর। ক্যারিয়ারে ৫০ টিরও বেশি গোল এবং অ্যাসিস্টসহ টিমের ইতিহাসে সাত শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়ের একজন তিনি।
ওএল রেইনে ১১ বছরের এনডব্লিউএসএল ক্যারিয়ারে ৪৮ গোল করে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন তিনি।
নারীদের ফুটবলে সমান বেতনের জন্য স্পষ্টবাদী এবং এলজিবিটিকিউপ্লাস অধিকারের সমর্থক র্যাপিনোকে গত বছর প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডমে ভূষিত করেন জো বাইডেন।
ইউএস সকারের তথ্য অনুযায়ী, র্যাপিনোই প্রথম হোয়াইট ক্রীড়াবিদ এবং প্রথম নারী যিনি ন্যাশনাল অ্যান্থিমের সময় সাবেক এনএফএল খেলোয়াড় কলিন কেপার্নিকের সঙ্গে হাঁটু গেড়ে সংহতি জানিয়েছিলেন।
তিনি প্রথম ২০০৬ সালে ইউএস সিনিয়র দলের হয়ে খেলেছিলেন। জিতেছেন একটি অলিম্পিক স্বর্ণপদক, আর দুটি বিশ্বকাপ।
ওমেন্স বাস্কেটবল আইকন সু বার্ডকে বিয়ে করেন র্যাপিনো।