ওয়েস্টার্ন প্রাইস ক্যাপ ছাড়িয়েছে রাশিয়ান অয়েল

টিবিএন ডেস্ক

জুলাই ১৫ ২০২৩, ১৯:১৬

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • 0

রাশিয়ার ফ্ল্যাগশিপ ইউরালস ক্রুড চলতি সপ্তাহে প্রথমবারের মতো ইইউ ও জি-সেভেন দেশগুলো নির্ধারিত তেলের ৬০ ডলার মূল্য ক্যাপ অতিক্রম করেছে। পশ্চিমা বিশ্বে রাশিয়ান তেল রপ্তানি কমানোর লক্ষ্যে তেলের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়াটি কার্যকর করা হয়েছে।

আর্গাস মিডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, ১২ জুলাই ইউরালস স্পট প্রাইস ৬০.১৮ ডলারে পৌঁছেছে। একই সময়ে প্রিমর্স্ক ও নভোরোসিস্ক লোডেড কার্গোগুলোর প্রতি ব্যারেলের মূল্য হয়েছে ৬০.৭৮ ডলারে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জি-সেভেন ও জোটগুলোর সহযোগী দেশগুলো গত ডিসেম্বরে রাশিয়ান তেল নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামে বিক্রি করলে ওয়েস্টার্ন শিপিং, ইনস্যুরেন্স ও রি-ইন্স্যুরেন্স সংস্থাগুলোকে রাশিয়ান তেলবাহী কার্গো পরিবহন ও পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে।

রাশিয়ান পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের ওপরও গত ফেব্রুয়ারিতে একই ধরনের বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছিল।

প্রাইস ক্যাপ মেনে চলা গ্রাহকদের কাছে রাশিয়ান তেল, পেট্রোলিয়াম ও পরিশোধিত পণ্য বিক্রিতে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ও বিধি-নিষেধের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া।

বার্তাসংস্থা ব্লুমবার্গ বুধবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, ‘সাম্প্রতিক তথ্য মস্কোর জন্য বিজয়ের প্রতীক। রাশিয়া তেল রপ্তানি কমাতেই দাম বাড়ানোর সিধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে জি-সেভেন দেশগুলোর তেল কোম্পানিগুলো অল্প পরিমাণ তেল গ্রাহকদের পরিষেবা নিশ্চিত করতে যথেষ্ট বড় জাহাজের শ্যাডো ফ্লিট পরিবহন নিশ্চিত করেছে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাইস ক্যাপের উপড়ে ইউরালসের দাম বৃদ্ধি ‘ইউরোপ ও অ্যামেরিকার জন্য একটি বিশাল ধাক্কা। পশ্চিমা জোট দেশগুলোতে মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কা কাটিয়ে বৈশ্বিক অর্থনীতি সচল রাখতে তেলের পরিবহন নিশ্চিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে রাশিয়াকে চাপে রাখতে মুনাফা কমিয়ে তেলের মূল্য নির্ধারিত করে দেয়া হয়’।

অয়েল ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন সুত্রের বরাতে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, ভারতীয় তেল শোধনাগারগুলো রাশিয়ান তেলের মূল্য পরিশোধে ইতোমধ্যে ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সমস্যায় জড়িয়েছে।

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে চায়না ও ভারতে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের সবচেয়ে বড় বাজার তৈরি হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে মূল্য পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় ভারতীয় ক্রেতাদের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে বলে শঙ্কা জানিয়েছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।

ভ্যান্ডানা ইনসাইটসের প্রতিষ্ঠাতা হরি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার ভয়ে ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলো গত কয়েকমাস আমদানি করা তেলের দাম পরিশোধে বেশ সতর্ক ছিল। তেল শোধনাগার মালিকদের বোঝাতে হবে, তাদের কেনা পণ্যগুলোর দাম ফ্রি-অন-বোর্ডে ৬০ ডলারের নিচে ছিল।’


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন