তাদের দাবি, সংসদে মণিপুর ইস্যু নিয়ে আলোচনা হতে হবে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এ বিষয়ে বিবৃতি দিতে হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছেন, তারা এ ঘটনা নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। তবে এতে বিরোধী দল বাধা দিচ্ছে।
মণিপুরে গত মে থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতি ও উপজাতি কুকি গোষ্ঠীর মধ্যে চলছে সংঘাত। এতে অন্তত ১৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন, বাস্তুচ্যূত হয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ।
সবশেষ দুই নারীকে লাঞ্ছনার ভিডিও ভাইরাল হলে ইস্যুটি বিশ্বব্যাপী সমালোচিত হয়।
অ্যামেরিকা রোববার বিবৃতি দিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে। জাতিগত সংঘাতের মধ্যে নারীদের লাঞ্ছনার ঘটনাকে নৃশংস ও ভয়ঙ্কর বলে আখ্যায়িত করেছেন অ্যামেরিকান মুখপাত্র।
এর আগে ভারতে নিযুক্ত অ্যামেরিকান রাষ্ট্রদূত জানিয়েছিলেন, মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব ধরণের সহায়তা দিতে প্রস্তুত তার দেশ। এর জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানান, তিনি মণিপুর ইস্যুতে বিদেশি কূটনীতিকদের কোনো মন্তব্য দেখেননি। বিদেশি কূটনীতিকরা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মন্তব্য করেন না বলেও জানান তিনি।
সংঘাত চলাকালে প্রধানমন্ত্রী মোদি চুপ থাকলেও দুই নারীর ভিডিও ভাইরালের পর তিনি ঘটনাটিকে লজ্জাজনক বলেন। এরপর সংসদে এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।