ভোটকেন্দ্রের সামনে হিরো আলমের ওপর হামলা

টিবিএন ডেস্ক

জুলাই ১৭ ২০২৩, ১৭:১১

ঢাকার বনানীতে হামলার শিকার হন হিরো আলম। ছবি: প্রথম আলো

ঢাকার বনানীতে হামলার শিকার হন হিরো আলম। ছবি: প্রথম আলো

  • 0

বাংলাদেশের ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে বনানী এলাকায় একটি ভোটকেন্দ্রের সামনে মারধর করা হয়েছে। পরে তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করার কথা জানিয়েছেন ঘনিষ্ঠরা।

হিরো আলম বিকেলে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল ভোটকেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় হামলার শিকার হন।

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো জানায়, মারধর থেকে বাঁচতে একপর্যায়ে হিরো আলম দৌড়ে পালান। হামলাকারীরা এ সময় তাকে পেছন থেকে ধাওয়া দেন। হিরো আলম এক পর্যায়ে বনানীর ২৩ নম্বর সড়কে একটি স্থানে গিয়ে একটি রিকশায় ওঠেন। পরে তার গাড়ি সেখানে পৌঁছালে গাড়িতে করে চলে যান।

বিকেল ৩টার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়েছিলেন হিরো আলম। সেখানে তিনি একটি নারী ভোট কেন্দ্রে যান। এ সময় নৌকা প্রতীকের কর্মী ও সমর্থকেরা পেছন থেকে হিরো আলমকে উদ্দেশ করে গালমন্দ করতে থাকেন এবং কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে চলে যেতে বলেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে কেন্দ্রটির দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা হিরো আলমকে ঘিরে রেখে স্কুলের ফটকের দিকে নিয়া যান। তখনও পিছু নেন উত্তেজিত নেতাকর্মীরা।

স্কুলের প্রাঙ্গণ থেকে বেরুনোর পরে হিরো আলমের পাশে পুলিশ সদস্যরা ছিলেন না। স্কুল থেকে বের হয়ে ফটকের সামনে দিয়ে সোজা ১৬ নম্বর সড়কের দিকে দ্রুত এগুতে থাকেন হিরো আলম। একপর্যায়ে দলীয় নেতাকর্মীরা হিরো আলমকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেন, তখন তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়।

হিরো আলমের সঙ্গীরা তাকে রক্ষা করে সামনের দিকে নিয়ে গেলে ২৩ নম্বর সড়কের ব্লক এ পর্যন্ত পেছন থেকে ধাওয়া করা হয়।

হিরো আলমকে উদ্দেশ করে উত্তেজিত নেতাকর্মীদের বলতে শোনা যায়, সে করে টিকটক, সে হলো জোকার, সে কেন গুলশান-বনানীর এমপি হতে চায়। এমপির মানে সে জানে?

কেউ কেউ আবার বলছিলেন, তারে খালি দৌড়ানি দে, মারধর করা লাগব না।

হিরো আলম চলে যাওয়ার পর পুলিশ মারধরকারীদের একজনকে আটক করে।

হিরো আলমের সহকারী সবুজ জানান, হামলার শিকার হিরো আলমকে রামপুরার বেটার লাইফ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন।

আগের দিন হিরো আলম অভিযোগ করেছিলেন যে তার এজেন্টদের ‘ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে’ এবং তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে ‘আ.লীগ কর্মী ও নেতারা হয়রানি’ করেছে।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন