একটি মিডিয়া কোম্পানিতে শেয়ার রাখার অভিযোগ উঠেছে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির নেতা লিমচারেনরাতের বিরুদ্ধে। নির্বাচন কমিশনের এই অভিযোগের পর সাংবিধানিক আদালত প্রথমে তাকে সংসদ থেকে বরখাস্ত করে। এরপর তাকে ডিবেটিং চেম্বার ছেড়ে যেতে বাধ্য করে।
তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন কি না এ বিষয়ে দ্বিতীয় বার ভোট নেয়া হয়। অভিযোগের পর লিমচারেনরাত দাবি করেছেন, তিনি নির্বাচনি বিধি লঙ্ঘন করেন নি।
লিমচারেনরাত বর্তমানে বন্ধ একটি মিডিয়া কোম্পানির শেয়ারের মালিক হবার কারণে তাকে পার্লামেন্টের সদস্য থাকার অযোগ্য ঘোষণা করা হবে কিনা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে সাংবিধানিক আদালত।
থাইল্যান্ডের ভোটাররা সামরিক শাসনকে প্রত্যাখান করে গত মে মাসে তাকে সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিয়ে জয়ী করেন। প্রধানমন্ত্রীত্ব পেতে তার পার্লামেন্টের অনুমোদনের প্রয়োজন ছিল। গত সপ্তাহে অনুমোদন পেতে ব্যর্থ হন ৪২ বছর বয়সী এ রাজনীতিবিদ।
প্রধানমন্ত্রী হতে হলে দুই কক্ষবিশিষ্ট থাই পার্লামেন্টের মোট ৭৪৯ জন সদস্যের অর্ধেকেরও বেশি অর্থাৎ মোট ৩৭৫টি ভোট পেতে হবে। গত সপ্তাহে লিমচারেনরাত মাত্র ৩২৪ ভোট পান।
তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হলেও প্রধানমন্ত্রী হবার জন্য লড়তে পারবেন। আদালতের আদেশ মেনে নিয়ে লিমচারেনরাত বলেন, এ অভিযোগের ব্যাপারে আদালতে রুলিং না দেয়া পর্যন্ত তিনি কাজ বন্ধ রাখবেন।
ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে তিনি জানিয়েছেন যে, তিনি হয়তো প্রধানমন্ত্রী হবার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট পাবেন না।
মে মাসের নির্বাচনের পিথা লিমচারেনরাতের মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি বিজয়ী হয়। তারা বড় আকারের সংস্কার ও বিশেষ করে থাইল্যান্ডের রাজার মানহানির বিরুদ্ধে কঠোর আইনগুলো সংশোধনের অঙ্গীকার করে।
তার বিরুদ্ধে রক্ষণশীল সাংবিধানিক আদালতে দুটি মামলা হয়।তবে সাংবিধানিক আদালতের বিতর্কিত রুলিং এর নজির এটিই প্রথম নয়। ২০০৮ সালের পর থেকে তিনজন প্রধানমন্ত্রীকে এ আদালত বরখাস্ত করেছে।