কর্তৃপক্ষ জানায়, একটি অভ্যন্তরীণ তদন্তে অনুদানের খাদ্যপণ্য সরিয়ে ফেলার প্রমাণ মিলেছে। এ কারণে বৃহস্পতিবার অনুদান স্থগিতের ঘোষণা দেয়া হয়। তবে এই অনুদান ‘চুরিতে’ কারা জড়িত তা পরিষ্কার না করেনি ইউএসএআইডি।
তবে এর প্রধান স্যামান্থা পাওয়ার সেনেট ফরেইন রিলেশনস কমিটিকে কয়েক মাস আগে জানিয়েছিলেন, ইথিওপিয়ার টেইগ্রে অঞ্চলে অনুদানের খাদ্যপণ্য ব্যাপক পরিসরে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে; দেশটির সরকার ও এর স্থানীয় বিরোধীতাকারীদের দ্বন্দ্বের সুযোগে যোগসাজশে অনুদান চুরির ঘটনা ঘটছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাওয়ার সে সময় বলেছিলেন, সংঘবদ্ধ ও ব্যাপক পরিসরের এই চুরি তাৎক্ষনিকভাবে শনাক্ত করতে না পারা তার এজেন্সির ব্যর্থতা।
ইথিওপিয়ায় সবেচেয়ে বড় ডোনার অ্যামেরিকা। ২০২২ অর্থবছরে ইথিওপিয়ায় খাদ্যপণ্য ও মানবিক সহায়তার জন্য ১.৮ বিলিয়ন ডলার অনুদান গেছে অ্যামেরিকা থেকে। ওই দেশে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও খরায় জর্জরিত ২০ মিলিয়ন মানুষ এ ধরনের বৈদেশিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।
ইউএসএআইডির ৩ মের একটি নথিতে বলা হয়েছে, গত মার্চে সংস্থার সরবরাহ করা ব্র্যান্ডের ২ হাজার টন গম টাইগ্রের শায়ার শহরে একটি বাজারে বিক্রি হতে দেখেছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। ওই পরিমান গম ১৩৪ হাজার মানুষের এক মাসের জোগান ছিল। তদন্তকারীরা পরে ওই অঞ্চলে অন্য এলাকায় সংস্থার সরবারহ করা শস্যও বিক্রি হতে দেখেছে।
মানবিক সহায়তার অনুদানকারীদের গ্রুপের তৈরি একটি অভ্যন্তরীণ মেমোতে অনুদান সরিয়ে নেয়ায় ইথিওপিয়ার ফেডারেল সরকারের সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে।
হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যান্ড রেযিলিয়েন্স ডোনার গ্রুপের ওই মেমোতে বলা হয়েছে, ‘পরিকল্পিত এই চুরি ইথিওপিয়ার ফেডারেল ও আঞ্চলিক সরকারের যোগসাজশে ঘটেছে। এই অনুদানের সুবিধা ভোগ করছে দেশটির সামরিক ইউনিটগুলো।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইউএসএআইডির এক কর্মকর্তা জানান, চলমান তদন্তের ভিত্তিতে অনুদানের খাদ্যপণ্য সরবরাহ স্থগিত করলেও সংস্থাটি অন্যান্য সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।
ইউএসএআইডি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো, যত দ্রুত সম্ভব খাদ্য সহযোগিতা কার্যক্রম ফের চালু করা। নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর জন্য নির্ধারিত সহায়তা ঠিকমতো পৌঁছে দিতে সরবরাহ প্রক্রিয়ার একাগ্রতা নিশ্চিত হওয়া মাত্রই সহায়তা কার্যক্রম শুরু করা হবে।’