এবিসি নিউজের জরিপে এসেছে এই তথ্য।
জরিপ অনুযায়ী, ৪৫ শতাংশ অ্যামেরিকান ট্রাম্পের অভিযুক্ত হওয়াকে সঠিক বলে মনে করছেন। আর ৩২ শতাংশ বলছেস, তারা এমনটা ভাবেন না, ২৩ শতাংশ কোনো মতামত দেননি।
ডেমোক্র্যাটরাই মূলত গ্র্যান্ড জুরির সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছেন। জরিপে অংশ নেয়া ৮৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বলেছেন, ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির তদন্তে ট্রাম্পের অভিযুক্ত হওয়ারই কথা।
তবে রিপাবলিকানদের মতামত এতটা সংগঠিত নয়। জরিপে ৬২ শতাংশ রিপাবলিকানরা জানিয়েছেন, ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। ১৬ শতাংশ আবার গ্র্যান্ড জুরিকে সমর্থন জানিয়েছেন। আর প্রতি ৫ জনে ১ জন রিপাবলিকান বলেছেন, তাদের এ বিষয়ে কিছু বলার নেই।
সাবেক এই প্রেসিডেন্ট মঙ্গলবার ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হিসেবে আদালতে হাজির হতে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েল ‘হাশ মানির’ অভিযোগ তুলেছিলেন বেশ কয়েক বছর আগে। নানা মোড় পেরিয়ে সেই অভিযোগের জেরেই নিউ ইয়র্কের গ্র্যান্ড জুরি ট্রাম্পকে ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত করেছে।
ড্যানিয়েলের অভিযোগ, তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েছিলেন ট্রাম্প। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় এই ইস্যুটি ধামাচাপা দিতে চেয়েছিলেন এই রিপাবলিকান নেতা। সেজন্য মুখ বন্ধ রাখার বিনিময়ে ড্যানিয়েলকে ১৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন, যাকে 'হাশ মানি' বলা হয়। এই অর্থ ব্যবসায়িক খাতের খরচ হিসেবে দেখানো হয়েছিল। তবে অভিযোগগুলো বরাবরই নাকচ করেছেন ডনাল্ড ট্রাম্প।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবসায়িক জালিয়াতির অভিযোগ তোলা যায় কিনা- সেটির তদন্ত শুরু করে গ্র্যান্ড জুরি। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার তাকে ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়।
এর আগে অ্যামেরিকার কোনো প্রেসিডেন্ট বা সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ গঠন হয়নি।