প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে বৃহস্পতিবার সাক্ষাতের সময় তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জেয়া বলেন, ‘কোনো দলের প্রতি আমাদের কোনো পক্ষপাতিত্ব নেই; আমরা একটি নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।’
অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান তার অঙ্গীকার।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লড়াই করেছি। আমরা ইতোমধ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করেছি।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের অধিকারের জন্য লড়াই করেছে। আমরা সবসময় জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকারের জন্য লড়াই করি।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপিই দেশে ভোট কারচুপি শুরু করেছিল। এরপর নির্বাচনের জন্য স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স চালু করা হয়।
শেখ হাসিনা ২০১৩-২০১৫ সালে বিএনপি ও তাদের মিত্রদের নৃশংসতা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং অগ্নিসংযোগের কথা স্মরণ করেন, যেসব ঘটনায় ৫০০ মানুষ নিহত হন।
জেয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন এবং মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে সমন্বিত আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা জোরদারের উপর গুরুত্ব দেন তিনি। অ্যামেরিকার আন্ডার সেক্রেটারি উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর কার্যক্রম পরিচালনাজনিত খরচ বাবদ অ্যামেরিকা প্রায় ৭৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে।
তিনি বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার জন্য শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে দেশের দুটি আলাদা অঞ্চলে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে।
এসব ক্যাম্পে মানবপাচার ও অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি দেশের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, অ্যামেরিকায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, অ্যামেরিকার দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু এবং বাংলাদেশে অ্যামেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।