তবে লাইফগার্ডের তীব্র সংকটে অ্যামেরিকানদের গ্রীষ্মের এই আনন্দ এবার ম্লান হতে যাচ্ছে। আগের বছরগুলোতেও লাইফগার্ডের সংকট ছিল, তবে এ বছর সমস্যা প্রকট রূপ নিয়েছে। নিউ ইয়র্কে ৯ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির সঙ্গে সাইন ইন বোনাস মিলিয়েও লোকজনদের ‘লাইফগার্ড’ পেশায় টানা যাচ্ছে না। শহরে প্রয়োজনের তুলনায় মাত্র এক তৃতীয়াংশ লাইফগার্ড কর্মী আছেন।
অ্যামেরিকান লাইফগার্ড এ্যাসোসিয়েশনের মতে, দেশজুড়ে ৩০৯০০০টি অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক পাবলিক পুল বন্ধ অথবা লাইফগার্ড সংকটের জন্য কম সময়ের জন্য খুলতে হচ্ছে।
সমস্যার সুরাহা করতে কলোরাডোতে রাষ্ট্রীয় অনুদান দেয়া হচ্ছে। জন্সটনের কলোরাডো ‘ওয়াইএমসিএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট জেন স্পেটেল বলেন তারা নিজেদের পুলের জন্য নতুন লাইফগার্ড খুঁজতে ১০ হাজার ডলার অনুদান পেয়েছেন।
স্পেটেল বলেন, ‘এই অনুদান আমাদের নতুন লাইফগার্ড ও তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের পেছনে খরচ করা হবে। এই প্রশিক্ষিত লাইফগার্ডরা পরে আরও কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে পারবেন। ছোট কমিউনিটিগুলোর জন্য অনেক কম মানুষ পাওয়া যায় এ পেশায়। শুরুর দিকে নতুন লাইফগার্ডদের টেনে আনা কষ্টের। এজন্য আমাদের আরও সম্পদ প্রয়োজন।‘
অ্যামেরিকান লাইফগার্ড এ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র ইয়াট ওয়েরনেথ বলেন, কম বেতন, যোগ্য আবেদনকারী না পাওয়া এবং কঠোর পরীক্ষা লাইফগার্ড নিয়োগ কঠিন করে তুলেছে।
ওয়েরনেথ আরও বলেন, ‘শুধু একটা গ্রীষ্মের চাকরির থেকেও এটা বেশি কিছু। লাইফগার্ডরা মানুষকে বলতে পারেন তাদের জীবন সংকটে আছে এবং তাদের নিরাপদে যেতে হবে।‘