কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে পিছিয়ে পড়ার পরও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি আবাহনী লিমিটেডকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়েছে সাদা-কালোরা। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ৪-৪ গোলে ড্র ছিল।
আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে ২-০ গোলে আবাহনী এগিয়ে যায়। প্রথমার্ধটা তারা শেষ করেছে ওই লিড নিয়েই।
ম্যাচের ১৬ মিনিটে এমেকার পাস থেকে প্লেসিং শটে গোল করে আবাহনীকে এগিয়ে দেন তরুণ ফরোয়ার্ড ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। মোহামেডানের আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আবাহনীর কোস্টারিকান ফরোয়ার্ড ডানিয়েল কলিন্দ্রেস। ৪৪ মিনিটে রিদয়ের লম্বা পাস থেকে দুর্দান্ত গোল করেন তিনি।
বিরতি থেকে ফিরে গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে উঠে মোহামেডান। সফলও হয় তারা। ৫৬ মিনিটে মোহামেডানের হয়ে প্রথম গোলটি করেন দিয়াবাতে। ৪ মিনিট পর আবার গোল করে মোহামেডানকে ২-২ সমতায় পৌঁছে দেন তিনি।
তবে ৬৬ মিনিটে এমেকার গোলে আবারও লিড পায় আবাহানী। ৮৩ মিনিটে গোল করে হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি ম্যাচকে অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যান মোহামেডানের অধিনায়ক দিয়াবাতে।
অতিরিক্ত সময়ের খেলাতেও ছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ১১২ মিনিটে দিয়াবাতেকে ডি বক্সে ফাউল করেন আবাহনীর গোলকিপার শহিদুল আলম। রেফারির পেনাল্টির বাঁশি বাজালে স্পট থেকে নিজের চতুর্থ গোল করে সুপার হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন দিয়াবাতে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি মোহামেডানের।
দুই মিনিট পর গোলটি শোধ করে দেন আবাহনীর রহমত মিয়া। ফলে ৪-৪ গোলের সমতায় শেষ হয় ১২০ মিনিটের খেলা। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারে আবাহনীর কলিন্দ্রেস ও ব্রাজিলিয়ান তারকা রাফায়েলের শট রুখে দেন মোহামেডানের বদলি গোলকিপার আহসান হাবিব বিপু। এতেই ৪-২ গোলের ব্যবধানের জয় নিশ্চিত হয় মোহামেডানের।
সবশেষ ২০০৯ সালে ফেডারেশন কাপের শিরোপা জিতেছিল মোহামেডান।