চুক্তি না হলে চীন ধ্বংসের মুখে পড়ত: ট্রাম্প

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১৭ ২০২৫, ১০:৫৩ হালনাগাদ: ডিসেম্বর ৬ ২০২৫, ২৩:১৬

অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও শি জিনপিং। ফাইল ছবি

অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও শি জিনপিং। ফাইল ছবি

  • 0

শুল্কনীতি প্রসঙ্গে ট্রাম্প জানান, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি না করলে দেশটি একেবারেই ভেঙে পড়ত।

চীনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি না করলে দেশটি একেবারেই ভেঙে পড়ত বলে মনে করেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে শুক্রবার ফক্স নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে পুঁজিবাজারে স্বস্তি ফিরে আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার কারণেই দেশটি ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়েছে।

বিশ্বের ১৫০টি দেশ অ্যামেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে চায় বলেও দাবি করেন ট্রাম্প।

মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ তিনটি দেশে স্মরণীয় এক সফর সম্পন্ন করেন ট্রাম্প। রিয়াদের কাছ থেকে ৬০০ বিলিয়ন, দোহার সঙ্গে এক দশমিক ২ ট্রিলিয়ন এবং ইউএইর কাছ থেকে ২০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি আদায় করা গেছে বলে দাবি করছেন অ্যামেরিকান কর্মকর্তারা।

আবুধাবিতে ফক্স নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে মধ্যপ্রাচ্য সফরকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরেন ট্রাম্প।

তিনি বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আরব দেশগুলোকে তেমন মূল্যায়ন করেনি। এ কারণে চীন নিজেদের জ্বালানি সংকট মেটাতে ওই অঞ্চলে হানা দিতে চেয়েছিল, কিন্তু শেষ নাগাদ তিনি সেটি হতে দেননি।

অ্যামেরিকায় বিনিয়োগ বাড়ানোই এ সফরের মূল্য উদ্দেশ্য ছিল জানিয়ে ট্রাম্প জানান, তিনি আগের যেকোনো প্রেসিডেন্টের চেয়ে বেশি সফল।

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফেরাতে তিনটি আরব দেশের এ সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

গাজাকে ‘নোংরা’ অভিহিত করে উপত্যকাটিকে ‘ফ্রিডম জোন’ ঘোষণা করা উচিত বলে মনে করেন প্রেসিডেন্ট।

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে তেহরানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের আলোচনা প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ঠেকানো, গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং সিরিয়ার পুনর্গঠনে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো ভূমিকা রাখতে আগ্রহী। তেহরানের পারমাণবিক সক্ষমতা এ অঞ্চলের জন্য হুমকি। যেভাবেই হোক, এটি তিনি ঠেকাবেন।

ট্রাম্প জানান, শান্তিপূর্ণ প্রচেষ্টাকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি।

ওই সময় ট্রাম্প দাবি করেন, ভারত ও পাকিস্তান পরমাণু যুদ্ধের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। তিনি হস্তক্ষেপ না করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে যেতে পারত।

তিনি বলেন, পররাষ্ট্রনীতিতে এটাই তার সবচেয়ে বড় অর্জন। এ ছাড়া প্রতিবেশী দুটি দেশ বাণিজ্যে আগ্রহী। তারা অ্যামেরিকার সঙ্গে বড় ধরনের চুক্তিতেও আশাবাদী।

কাতার থেকে উপহার পেতে যাওয়া বিমানটি তার কাছে নয়; বরং দেশের বিমান বাহিনীর কাছে যাবে বলে জানান ট্রাম্প।

তার ভাষ্য, যিনি প্রেসিডেন্ট থাকবেন, তিনিই এটি ব্যবহার করবেন। কট্টর বামপন্থিরা বিষয়টি নিয়ে কুৎসা রটাচ্ছে।

শুল্কনীতি প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট জানান, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি না করলে দেশটি একেবারেই ভেঙে পড়ত।

পুঁজিবাজারে স্বস্তি ফিরে আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার কারণেই বেইজিং ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়েছে।