নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র পদে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার যোগ্যতা অর্জন করেছেন জোরান মামদানি। প্রাইমারিতে জয় লাভের পর সমর্থকদের উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে বাংলাদেশি আন্টিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি ৩৩ বছর বয়সী এই নেতা।
প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ড্রু কুমোর মতো বাঘা রাজনীতিককে পেছনে ফেলে প্রার্থিতা নিশ্চিত করার পর মামদানি তার সমর্থকদের ধন্যবাদ জানান। সমর্থকদের উদ্দেশে দেয়া এক বক্তব্যে তার হয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচারণায় অংশ নেয়া বাংলাদেশি আন্টিদেরও ধন্যবাদ দেন।
মামদানি তার ভাষণে বলেছেন, এই জয় শুধু আমাদের নয়। এই জয় সেই সব বাংলাদেশি আন্টিদের যারা শহরের প্রত্যেকটি দরজায় দরজায় তার প্রচারণার জন্য কড়া নেড়েছেন। অক্লান্ত ভাবে মামদানির জন্য ভোট চেয়েছেন।
মূলত অশ্বেতাঙ্গ ও তরুণ মুসলিম হিসেবে মামদানির এজেন্ডা নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশিসহ দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীদের মধ্যে বিপুল সাড়া ফেলেছে। সে কথা মাথায় রেখেই মামদানি এবং নিউইয়র্কের একমাত্র নির্বাচিত বাঙালি কাউন্সিলর শাহানা হানিফ যৌথভাবে বাংলায় একটি ভিডিও বার্তা প্রচার করেছেন।
নিউইয়র্ক শহরকে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য অধিক বসবাসযোগ্য করে তোলার স্বপ্ন দেখিয়ে বাজিমাত করেছেন তিনি। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্য মূল্যের মুদিদোকান খোলা, স্বল্পআয়ের মানুষের জন্য নতুন দুই লাখ অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ, ভাড়ানিয়ন্ত্রিত অ্যাপার্টমেন্টে আগামী চার বছর ভাড়া বাড়ানো নিষিদ্ধ করা, নিখরচায় শিশু পরিচর্যার ব্যবস্থা, বিনা ভাড়ার সরকারি বাসের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দিয়ে ভোটারদের মনোযোগ কেড়েছেন মামদানি।