স্মল বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এসবিএ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে করোনা মহামারিতে অ্যামেরিকায় ত্রাণ তহবিল জালিয়াতির এ চিত্র উঠে এসেছে।
এসবিএ ইন্সপেক্টর জেনারেল হ্যানিবাল ‘মাইক’ ওয়্যারের করা প্রতিবেদন বলা হয়েছে ‘সমস্ত কোভিড-ইকোনোমিক ইনজুরি ডিজাস্টার লোনস (ইআইডিএল) ও পে-চেক প্রোটেকশন প্রোগ্রাম (পিপিপি) তহবিলের অন্তত ১৭ শতাংশ আত্মসাৎকারীদের হাতে পড়েছে।’
প্রতিবেদনে অনুযায়ী করোনা মহামারির সময় দেয়া ইকোনমিক ইনজুরি ডিজাস্টার লোন প্রোগ্রামে জালিয়াতির ১৩৬ বিলিয়ন বিলিয়নেরও বেশি। যা ওই ঋণ কার্যক্রমের ৩৩ শতাংশ। ইন্সপেক্টর জেনারেল এর সঙ্গে যোগ করেছেন, পে-চেক সুরক্ষা জালিয়াতির পরিমান ৬৪ বিলিয়ন ডলার।
ইন্সপেক্টর জেনারেলের অফিস, এসবিএ, ইউএস সিক্রেট সার্ভিস ও অন্যান্য ফেডারেল সংস্থাগুলির মধ্যে সহযোগিতার মাধ্যমে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার জালিয়াতি হওয়া টাকা ফেরত এসেছে। পুনরুদ্ধার হওয়া টাকা মোট জালিয়াতি হওয়া অর্থের মাত্র ১৫ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ঋণ কর্মসূচি হয়তো ব্যবসাগুলোকে সহজে নগদ অর্থ দিয়ে অর্থনীতিকে রক্ষা করেছে। কিন্তু যারা এ কাজের সাহায্যে ছিলেন তারা ব্যপক দুর্নীতি করেছেন। এ ঘটনা ভবিষ্যতে জরুরি সামাল দেয়ার কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্থ করবে বলেও আশংকা করছেন তারা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সব সরকারি কর্মসূচিতে কিছু পরিমাণ দুর্নীতি হয়। দ্রুত ঋণ অনুমোদনের চাপ ও আবেদন পরীক্ষার দীর্ঘ প্রক্রিয়া এড়াতে দ্রুত এগুলো পাস করানো হয়। জরুরি কর্মসূচিগুলোতে তাই দুর্নীতির সম্ভাবনা বেশি থাকে।