তাইওয়ানকে চায়নার অবিচ্ছেদ্য অংশ দাবি করা বেইজিং এই মহড়ার মাধ্যমে দ্বীপদেশটির সরকারকে ‘কঠোর বার্তা’ দিতে চায় বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা।
প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন অ্যামেরিকা সফর থেকে দেশে ফেরার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মহড়াটি শুরু হয়।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ৪২টি চাইনিজ সামরিক বিমান এবং আটটি যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যবর্তী রেখা অতিক্রম করেছে। এটি চায়না ও তাইওয়ানের ভূখণ্ডের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক বিভাজন রেখা হিসেবে বিবেচিত।
চায়নার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, সামরিক মহড়াটি তাইওয়ান দ্বীপের চারপাশ ঘিরে পরিচালিত হবে এবং যেকোনো হামলার হুমকি মোকাবিলার কৌশল জোরদার করবে।
মহড়ায় দূরপাল্লার রকেট আর্টিলারি, নেভাল ডেস্ট্রয়ার, মিযাইল বোট, যুদ্ধবিমান, জ্যামারসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়েছে।
তাইওয়ানকে ঘিরে চায়নার এ ধরনের সামরিক মহড়া প্রায়ই চলে থাকে। তবে এবারের মহড়াটিকে ম্যাকার্থির সঙ্গে সাইয়ের বৈঠকের প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট সাই শনিবার বলেন, তার সরকার অ্যামেরিকা এবং অন্য গণতন্ত্রিক দেশের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে। কারণ তার দেশ চায়নার ‘নিরবচ্ছিন্ন কর্তৃত্ববাদী সম্প্রসারণবাদ’-এর মুখোমুখি হচ্ছে।
তাইপেইতে মাইকেল ম্যাককলের নেতৃত্বে অ্যামেরিকান কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের সময় প্রেসিডেন্ট সাই এ মন্তব্য করেন।
এ সময় ম্যাককল বলেন, ‘ওয়াশিংটন তাইওয়ানে অস্ত্র সরবরাহের জন্য কাজ করছে, তবে সেটা যুদ্ধের জন্য নয়, শান্তির উদ্দেশে।’
তাইওয়ানের চারপাশে চায়নার তিন দিনের মহড়ার নাম দেয়া হয়েছে ‘ইউনাইটেডশার্প সোর্ড’। এটি সোমবার পর্যন্ত চলবে বলে জানায় পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড।