৮টি কুকুরছানা পুকুরে ডুবিয়ে হত্যা, অসহায় মা কুকুর

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪ ২০২৫, ১:৪৩

মায়ের সঙ্গে কুকুরছানার দল। কোলাজ: ইউএনবি

মায়ের সঙ্গে কুকুরছানার দল। কোলাজ: ইউএনবি

  • 0

পাবনার ঈশ্বরদীতে সরকারি বাসভবনের আশেপাশে ৮টি কুকুরছানা সঙ্গে নিয়ে একটি মা কুকুরের ঘোরাফেরা ছিল প্রায় প্রতিদিনের দৃশ্য। তবে রোববার (৩০ নভেম্বর) রাতে মা কুকুরটিকে দেখা যায় আবাসিক এলাকা ও অফিসার্স ক্লাবের আশেপাশে একাকী ঘোরাফেরা করতে। ঘটনাক্রমে জানা যায়, ওইদিন সকালে উপজেলা চত্বরে গেজেটেড ভবনে বাস করা সরকারি কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়ন ও তার স্ত্রী ৮টি কুকুরছানাকে বস্তায় বেঁধে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যা করেন।

পাবনার ঈশ্বরদীতে সরকারি বাসভবনের আশেপাশে ৮টি কুকুরছানা সঙ্গে নিয়ে একটি মা কুকুরের ঘোরাফেরা ছিল প্রায় প্রতিদিনের দৃশ্য।

তবে রোববার (৩০ নভেম্বর) রাতে মা কুকুরটিকে দেখা যায় আবাসিক এলাকা ও অফিসার্স ক্লাবের আশেপাশে একাকী ঘোরাফেরা করতে।

ঘটনাক্রমে জানা যায়, ওইদিন সকালে উপজেলা চত্বরে গেজেটেড ভবনে বাস করা সরকারি কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়ন ও তার স্ত্রী ৮টি কুকুরছানাকে বস্তায় বেঁধে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যা করেন।

নৃশংস এ ঘটনায় অভিযুক্ত নিশি রহমানকে(৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সংবাদ সংস্থা ইউএনবি জানায়, মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঈশ্বরদী পৌর সদরের রহিমপুর গার্লস স্কুলের পাশের এক বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামান জানান, কুকুরছানা হত্যার ঘটনায় উপজেলার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

এর আগে সোমবার (১ ডিসেম্বর) তাকে গেজেটেড কোয়ার্টার ছাড়তে লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরে তারা স্কুলের পাশে ভাড়া বাসাটিতে উঠেন।

নিশিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার আজ (বুধবার) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জানান, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

এর আগে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে ‘প্রাণী কল্যাণ আইন-২০১৯’-এর ধারা ৭-এ নিশির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বলেন, ‘ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছে। পরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার ফোন করেন।

‘তিনি বলেন এ ঘটনা অমানবিক। এই ঘটনা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। তাই প্রাণী হত্যায় জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।'

এ বিষয়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তা নয়নের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।