ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে সরিয়ে দেওয়াই ইসরায়েলের মূল্য উদ্দেশ্য বলে বৃহস্পতিবার মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।
ইসরায়েলের একটি মেডিক্যাল সেন্টারে ইরানের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
কাটজ এক বিবৃতিতে বলেন, খামেনি সবসময় তার এজেন্টদের মাধ্যমে ইসরায়েলকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে কাজ করেছেন।
আয়াতুল্লাহ খামেনির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ ব্যক্তি আমাদের আক্রমণ করতে চায়। তাই তার বেঁচে থাকা উচিত নয়। এ ব্যক্তিকে থামানোর জন্য তাকে নির্মূল করাই এ অভিযানের অংশ।
‘আমরা তার ভূমিকা নিয়ে সচেতন। কারণ তিনি আগে থেকেই ইসরায়েলের ধ্বংসের কথা বলে আসছেন।’
ইরানে গত শুক্রবার হামলা শুরুর পর ইসলামি প্রজাতন্ত্রটির সরকার পরিবর্তনের লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি আয়াতুল্লাহ খামেনিকে সরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যের কথা নাকচ করেননি।
সম্প্রতি ইংরেজি ভাষায় ধারণকৃত ভিডিওতে ইরানিদের উদ্দেশে নেতানিয়াহু বলেন, সামরিক অভিযান ইরানিদের স্বাধীনতা অর্জনের পথ পরিষ্কার করবে বলে আশা করছেন তিনি।
অন্যদিকে মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে খামেনির দিকে ইঙ্গিত করে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা তাকে খুঁজে বের করে হত্যা করব না, অন্তত আপাতত নয়, তবে আমাদের ধৈর্য ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে।’
এদিকে বুধবার রাতভর ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণবিক চুল্লিতে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার ইরানের আরাকে ভারী পানির পারমাণবিক চুল্লিসহ ইরানের বেশ কয়েকটি স্থানে বিমান হামলা চালায় দেশটি।
এমন বাস্তবতায় ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেশটির কর্মকর্তারা জানান, হামলার আগে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং তেজস্ক্রিয়তা ছড়ানো বা হতাহতের কোনো ঝুঁকি শনাক্ত করা হয়নি।
হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতির কথাও উল্লেখ করা হয়নি।
ইরানের সামরিক স্থাপনা ও পারমাণবিক স্থাপনায় শুক্রবার শুরুর সময়ে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইরানের জ্যেষ্ঠ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা ও শীর্ষস্থানীয় পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হন। ওই হামলার জবাবে পাল্টা হামলা চালায় ইরান।
দেশ দুটির মধ্যে সপ্তম দিনের মতো চলছে পাল্টাপাল্টি হামলা।