চলতি বছরের আগস্টে ফিতযের চার বছর পূর্ণ হতো। ফিতযের মা মিকির বয়স ৩৭ বছর। মিকিও কেনটাকিভিত্তিক লুইভেল চিড়িয়াখানায় আছে।
চিড়িয়াখানা কর্মীরা জানান, ২৫ জুন থেকে ফিতযকে চুপচাপ মনে হচ্ছিল। খুব একটা নড়াচড়া বা খেলাধুলা করছিল না। তাই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে এর রক্তের নমুনা পাঠানো হয় ল্যাবে। ২৮ জুন নিশ্চিত করা হয় তার শরীরে এন্ডোলেথিওট্রপিক হারপিস ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে।
ভাইরাসটি ইইএইচভি নামে পরিচিত। এর সংক্রমণে রক্তের কোষ আক্রান্ত হয়। এর কোনো ভ্যাকসিন নেই। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বেঁচে থাকার হার মাত্র ২০ থেকে ৩০ শতাংশ।
এরপরেও ফিতযকে এন্টিভাইরাল ওষুধ দেয়া হয় এবং প্লাজমা ট্রান্সফার করা হয়।
ফিতযের শরীরের অবস্থা শুক্রবার সন্ধ্যায় খারাপ হতে থাকে। রাত ১১টার দিকে মারা যায় ফিতয।
ফিতযের মৃতুতে লুইভেল চিড়িয়াখানা শোক জানিয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলেছে, বেশিরভাগ হাতি বা বন্যপ্রাণী জন্মের সময় এই ভাইরাস বহন করে। তাই তাদের ধারণা, মিকিও এই ভাইরাসে আক্রান্ত। তবে মিকি এখনো স্বাভাবিক আচরণ করছে। তবু কর্মীরা একে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।