ক্লাসিফায়েড নথি দেখার অনুমতি পেল 'গ্যাং অফ এইট'
টিবিএন ডেস্ক
এপ্রিল ১১ ২০২৩, ২১:১১
- 0
জো বাইডেন, ডনাল্ড ট্রাম্প ও মাইক পেন্সের জিম্মা থেকে উদ্ধার রাষ্ট্রীয় গোপন নথি দেখার অনুমতি পাচ্ছেন আট কংগ্রেস নেতা। তবে এসব নথি বেশ পুরোনো।
‘গ্যাং অফ এইট’ নামে পরিচিত কংগ্রেস নেতারা অনেকদিন ধরেই ক্লাসিফায়েড ডক্যুমেন্টগুলো পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন। তবে সেগুলো নিয়ে তদন্ত চলছে জানিয়ে বিচার বিভাগ এর আগে এই অনুরোধ নাকচ করে দেয়।
অবশেষে তারা নথিগুলোর দেখা পাচ্ছেন বলে সূত্রের বরাতে জানিয়েছে এনবিসি নিউজ। তবে বিষয়টি নিয়ে ওই আট নেতার মন্তব্য পাওয়া যায়নি। বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্টরাও মন্তব্য দিতে রাজি হননি।
এই গ্যাং অফ এইটে আছেন হাউয ইন্টেলিজেন্স কমিটি এবং সেনেটের শীর্ষ ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান নেতারা।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ব্যাক্তিগত বাড়ি বা অফিস থেকে নথিগুলো বিভিন্ন সময় জব্দ করে ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন- এফবিআই।
শুরুটা হয় ট্রাম্পের ফ্লোরিডার মার-অ্যা-লাগো বাড়ি থেকে। গত আগস্টে সেখানে তল্লাশি চালিয়ে ১০০টিরও বেশি ক্লাসিফায়েড ডক্যুমেন্ট জব্দ করা হয়। এফবিআই জানায়, এই নথিগুলো জমা না দিয়েই হোয়াইট হাউয ছাড়েন ট্রাম্প।
এরপর গত জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এক আইনজীবী জানান, ওবামা প্রশাসনের কিছু ক্লাসিফায়েড ডক্যুমেন্ট বাইডেনের একটি অফিসে পাওয়া গেছে। ওবামার আমলে ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব শেষ হওয়ার পর বাইডেন ওই অফিসটি ব্যবহার করতেন। আরও কিছু রাষ্ট্রীয় নথি পরে বাইডেনের ডেলাওয়ারের বাড়িতেও পাওয়া গেছে।
এই দুই ঘটনার পর সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স নিজ থেকেই জানান, তার ব্যক্তিগত বাড়িতে কিছু ক্লাসিফায়েড ডক্যুমেন্ট আছে। এফবিআই গিয়ে সেগুলো জব্দ করে।
এসব নথির অব্যবস্থাপনা নিয়ে চলছে ফেডারেল তদন্ত।
নথিগুলোতে রাষ্ট্রীয় ঝুঁকি তৈরি হওয়ার মতো কোনো তথ্য আছে কি না তা জানতে সেগুলো পর্যবেক্ষণের সুযোগ পেতে গত আগস্ট থেকেই অনুরোধ জানাচ্ছিল গ্যাং অফ এইট।
এই আট জনের মধ্যে দুজন হলেন হাউয ইন্টেলিজেন্স কমিটির চেয়ারম্যান মার্ক ওয়ার্নার ও ভাইস চেয়ারম্যান মার্কো রুবিও। তারা প্রতিনিয়ত নথি হাতে পেতে বাইডেন প্রশাসনের উপর চাপ দিচ্ছিলেন।
ইন্টেলিজেন্স কমিটির দায়িত্বের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে ওই নথিগুলো পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন বলে তারা বলছিলেন।