হাসির চাপে কমে মনের চাপ

টিবিএন ডেস্ক

জুলাই ১৫ ২০২৩, ২৩:৫৫

হাসি মানসিক চাপ কমায়। ছবি: সংগৃহীত

হাসি মানসিক চাপ কমায়। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

মানসিক চাপ জীবনের অংশ হয়ে উঠলে মুক্তি পেতে প্রাণ খুলে হাসুন। কারণ গবেষকেরা বলছেন, মনের চাপ কমানোর কিছু কার্যকর উপায় রয়েছে। তার মধ্যে হাসি একটি। হাসি শরীর ও মনের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। হাসি স্বল্পমেয়াদে আপনার মনের চাপ কমাকে দারুণ ভূমিকা রাখে। সেই সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদে মন ঝরঝরে রাখতেও হাসি বেশ কার্যকর।

হাসির স্বল্পমেয়াদি সুবিধা

১. হাসি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গকে উদ্দীপ্ত করে। হাসলে শরীর ভালোভাবে অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে। হাসি হৃদপিণ্ড, ফুসফুস ও পেশীকে উদ্দীপ্ত করে এবং মস্তিষ্ক নিঃসৃত অ্যান্ডরফিনস বাড়ায়।

২. হাসি মানসিক চাপের প্রতিক্রিয়া কমায়। হাসি হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ একবার বাড়িয়ে দিয়ে তারপর কমাতে থাকে। এর ফলে আরামদায়ক অনুভূতি পাওয়া যায়।

৩. হাসি উত্তেজনা কমাতে পারে। হাসলে পেশী শিথিল হয়। ফলে মানসিক চাপের কিছু শারীরিক লক্ষণ কমে আসে।

হাসির দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব

১. হাসি আপনার ইমিউন সিস্টেমকে ভালো রাখে। হাসলে মন থেকে নেতিবাচক চিন্তা দূর হয়। ইতিবাচক চিন্তা আপনার নিউরোপেপটাইডগুলোকে মুক্তি দেয়, যা স্ট্রেস ও অন্যান্য গুরুতর অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করতে শরীরকে সহায়তা করে।

২. হাসলে শরীরে ব্যথার উপশম হয়। হাসি শরীরের নিজস্ব প্রাকৃতিক ব্যথানাশক তৈরি করে ব্যথা কমাতে পারে।

৩. হাসি কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়তা করে। তাছাড়া হাসির অভ্যাস অন্য মানুষের সঙ্গে যোগাযোগে ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করে।

৪. হাসলে মন মেজাজ ভালো থাকে। হাসি হতাশা কমাতে সাহায্য করে। চাপ, বিষণ্নতা, উদ্বেগ কমাতে হাসি এক কার্যকর উপায়। এটি ব্যক্তির আত্মসম্মানকেও উন্নত করতে পারে।

কীভাবে হাসিখুশি থাকবেন

সবসময় মানুষের মন ভালো থাকে না। সব সময় সবাই হাসিমুখেও থাকতে পারে না। তবে হাসিমুখে থাকার অভ্যাস করা যায়। আপনি চাইলেই নিজেকে সবসময় হাস্যোজ্জ্বল রাখতে পারেন।

এছাড়া, অনেকের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই হাস্যরস কম থাকতে পারে। তবে সেগুলো কোনো ব্যাপার নয়। চাইলেই নিজেকে হাসিখুশিভাবে উপস্থাপন করতে পারেন।

যেমন:

১. ভেবে দেখুন কোন জিনিসগুলো আপনাকে ভালো বোধ করায়। কিছু জিনিস আছে দেখলে আপনার মন ভালো হয় বা কিছু কাজ যা করলে আপনার ভালো লাগে সেগুলো করতে পারেন।

যেমন, কিছু ছবি বা কার্ড, কমিক স্ট্রিপ যেগুলো দেখলে আপনার হাসি পায় সেগুলো সংগ্রহ করে পড়ার টেবিল কিংবা অফিসের ডেস্কে রেখে দিতে পারেন। মজাদার সিনেমা, টিভি শো, বই, ম্যাগাজিন এসবও সংগ্রহে রাখতে পারেন কিংবা অনলাইনে এসবের ভিডিও দেখতে পারেন।

২. যেকোনো পরিস্থিতিতে হাসি ধরে রাখার চেষ্টা করুন। জোর করে হলেও ধীরে ধীরে অভ্যাস তৈরি করুন। এটি আপনার শরীর ভালো রাখবে।

৩. হাসিখুশি থাকেন এমন মানুষের সঙ্গে মেশার অভ্যাস করুন। তাদের সঙ্গে আড্ডা দিন, গল্প করুন। এতে করে ধীরে ধীরে আপনিও তাদের মতো যেকোনো পরিস্থিতে হাসিখুশি থাকা শিখবেন।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন