ভ্যান্সের অতীত ইতিহাস বলে প্রতিপক্ষকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেন না তিনি। অন্যদিকে ওয়ালজ অপেক্ষাকৃত ঝানু রাজনীতিক। তিনি ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কামালা হ্যারিসের বিশেষজ্ঞ দলের কাছ থেকেই পরামর্শ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে কয়েকটি সূত্র।
ভ্যান্স বলছেন বিতর্কে তিনি তুলে ধরবেন কিভাবে ট্রাম্প প্রশাসন দেশের অর্থনীতি এবং সীমান্ত সংকট উত্তরণে ব্যবস্থা নেবে। অপরদিকে ওয়ালজ জানিয়েছেন, তিনি জেডির মুখোমুখি হতে মুখিয়ে আছেন।
স্ট্র্যাটিজিস্টরা বলছেন, নিজেদের সক্ষমতার পরিচয় দেয়া ছাড়াও নিরপেক্ষ ভোটার টানতে ভিপি প্রার্থীদের বিতর্ক ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রেসিডেনশিয়াল ডিবেইট থেকে ভাইস প্রেসিডেনশিয়াল ডিবেইটের নিয়ম-নীতিতে কিছুটা পার্থক্য আনা হয়েছে। যেমন এক্ষেত্রে মাইক বন্ধ রাখা হচ্ছে না। অর্থাৎ একজনের বক্তব্যের সময় আরেকজন পাল্টা যুক্তি দাড় করাতে পারে কিংবা একজনের বক্তব্যের মধ্যেই অন্যজন নিজের মতামত প্রকাশ করতে পারে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাইক বন্ধ রাখার অধিকার সিবিএস কর্তৃপক্ষের হাতেই থাকবে। এই বিতর্কে কোন দর্শক থাকছে না।
৯০ মিনিটের বিতর্কে চার মিনিট করে দুটি কমার্শিয়াল ব্রেক বা বিরতি থাকবে। তবে কোন দলের প্রচারণাকর্মীদের কেউ উপস্থিত থাকতে পারছেন না। উদ্বোধনী বক্তব্য দেয়ার কোন সুযোগ থাকছে না। সরাসরি বিতার্কিকদের পরিচয় দিয়ে শুরু হয়ে যাবে মূল বিতর্ক। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এই বিতর্কে ফ্যাক্টস চেকিং থাকছে না।
এনবিসি নিউজ বলছে প্রায় মাস খানেক ধরে বিতর্কের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জিওপি ভিপি প্রার্থী। এজন্য তিনি মিনেসোটা কংগ্রেসম্যান টম এমারের সহায়তা নিয়েছেন। যিনি ওয়ালজের সাবেক সহকর্মী হওয়ার সুবাদে তার দুর্বলতাগুলো জানেন। ফক্স নিউজকে টম বলেছেন, জেডির কাছ থেকে সহজে রেহাই পাবেন না টিম।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও মনে করছেন,ভাইস প্রেসিডেনশিয়াল ডিবেইটে ওয়ালজের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারেন ওহাইও’র সেনেটর। কারণ ভ্যান্স মানুষ হিসেবে খুব পছন্দের একটা চরিত্র নয়। তাই বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারেন তিনি। সেক্ষেত্রে মাথা ঠান্ডা রাখতে পারলে জেডিকে কোণঠাসা করা কঠিন হবে না ওয়ালজের পক্ষে।
বিশ্লেষকদের মতে, ভ্যান্স মূলত ট্রাম্পের মুখপাত্র হিসেবেই কাজ করবেন। কেননা সাবেক প্রেসিডেন্ট আনুগত্য পছন্দ করেন। ফলে বিতর্কিত বিষয় উঠে আসলে ট্রাম্পের মতোই খোড়া যুক্তি দিয়ে তিনি তা খন্ডনের চেষ্টা করবেন।
স্ট্র্যাটিজিস্টরা বলছেন, নিজেদের সক্ষমতার পরিচয় দেয়া ছাড়াও নিরপেক্ষ ভোটার টানতে ভিপি প্রার্থীদের বিতর্ক ভূমিকা রাখতে পারে।
বিভিন্ন জরিপ বলছে, রানিংমেইটের একমাত্র বিতর্ক দেখতে দর্শকদের একটা বড় অংশ বেশ আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন। তারা চাইছেন একটি জমজমাট বিতর্ক হোক। এতে দুই প্রার্থীকে যাচাই করে তাদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।