গত ৪ জুন ক্রমওয়েলে ইন্টারস্টেইট নাইন্টি ওয়ানে ১৩০ মাইল প্রতি ঘণ্টার বেশি গতিতে গাড়ি চালানোর অভিযোগে কানেকটিকাট স্টেইট পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন আজমির জুরকোভিচ।
বেপরোয়াভাবে বিপজ্জনক গতিতে গাড়ি চালানো, পুলিশকে তাড়া করতে বাধ্য করা এবং একজন অফিসারের কাজে হস্তক্ষেপ করাসহ একাধিক আইন ভঙ্গের অভিযোগে জুরকোভিচকে আটক করে পুলিশ।
তবে শুক্রবার জুরকোভিচের আইনজীবীরা প্রমাণ করেন যে ঘটনার সময় অভিযুক্ত জুরকোভিচ বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। আইনজীবীরা জানান, পুলিশ যে মার্সিডিজ গাড়িটি খুঁজছে তার সাথে অভিযুক্তের আসামীর গাড়ির মধ্যে বড় ধরণের দৃশ্যমান পার্থক্য রয়েছে।
এছাড়া ৪ জুন সকাল ৯টার দিকে, বেপরোয়া গাড়িটিকে যখন পুলিশ তাড়া করছিল সে সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি তার নিজ বাড়িতে ছিলেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় পরে জুরকোভিচের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়।
নিউ ইয়র্ক ডেইলি নিউজ জানিয়েছে, পুলিশ কর্মকর্তারা প্রথমে বলেছেন, তারা ১৯ বছর বয়সী চালককে তার গাড়ির রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেখে শনাক্ত করেন এবং গাড়ি চালক স্বীকার করেছে যে চাকরির ইন্টারভিউতে দেরি হওয়ার কারণে তিনি তাড়াহুড়ো করছিলেন।
তবে শুক্রবার কানেকটিকাট স্টেইট পুলিশের কর্নেল ড্যানিয়েল লফম্যান স্বীকার করেন যে জুরকোভিচের বিরুদ্ধে পুলিশের করা অভিযোগগুলো ভুল ছিল।
কর্নেলের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সেদিন একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে বিষয়টি বিস্তারিত পর্যালোচনা করার পর ধারণা করা হচ্ছে তদন্তে ত্রুটি থাকতে পারে। এই বিষয়ে কোন মামলা করা উচিত নয়। ঘটনাটির কারণে জুরকোভিচ এবং তার পরিবার দুর্ভোগ শিকার হয়েছেন তা আমরা স্বীকার করছি। আমরা তার এবং এই ঘটনায় সরাসরি প্রভাবিত ব্যক্তিদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।’
লফম্যান জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে আটকের ক্ষেত্রে নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে কিনা এবং এতে সংশোধনমূলক কোন পদক্ষেপের প্রয়োজন আছে কিনা তা নির্ধারণের জন্য একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য সন্দেহভাজন ব্যক্তির দ্রুতগতির জন্য কথিত অজুহাতের অদ্ভুততার কারণে জুরকোভিচের গ্রেপ্তারের ঘটনাটি বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।
তবে, জুরকোভিচের একজন আইনজীবী বলেছেন তার মক্কেল পুলিশের সাথে তার সংক্ষিপ্ত কথোপকথনের সময় কখনও দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানোর কথা স্বীকার করেননি। বরং তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের জানান তিনি ওই গাড়ির চালক নন। কারণ ঘটনার দিন তিনি বাড়ি থেকে বের হননি।