ইরানে রবিবার শুরুর দিকে অ্যামেরিকার হামলার সমালোচনা করেছে পাকিস্তান।
দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর দেশটি শনিবার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিক সুপারিশ করে। এর এক দিন পর রবিবার ট্রাম্পের হামলার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে পাকিস্তান।
ভূগর্ভস্থ ফোরডোর পাশাপাশি ইরানের নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান পরমাণু ক্ষেত্রে রবিবার অ্যামেরিকার হামলার ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
বি-২ বোমারু বিমান ব্যবহার করে চালানো এ হামলার মাধ্যমে ইরানের পরমাণু বোমা তৈরির সক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত করার দাবি করেছে অ্যামেরিকা।
পরমাণু ক্ষেত্রে এমন হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা জানায় পাকিস্তান।
ইরানের প্রতিবেশী দেশটির মতে, ইরানকেন্দ্রিক সংকট নিরসনের একমাত্র পথ কূটনীতি।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানের ওপর চলমান আগ্রাসনের মাধ্যমে উত্তেজনা ও সহিংসতার নজিরবিহীন বৃদ্ধি গভীরভাবে উদ্বেগজনক। উত্তেজনা আরও বাড়লে এর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে মধ্যপ্রাচ্য ও এর বাইরে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বিবৃতিতেও ইরানে অ্যামেরিকার হামলার নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানকে টেলিফোনে অ্যামেরিকার হামলার বিষয়ে নিন্দা জানিয়েছেন শাহবাজ শরিফ।
এক দিনে দেশটির এমন বিপরীতধর্মী অবস্থান নিয়ে রয়টার্সের জিজ্ঞাসার কোনো জবাব দেয়নি পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এদিকে পাকিস্তানের বৃহত্তম শহর করাচিতে অ্যামেরিকা ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নেন হাজারো মানুষ।
বিক্ষোভকারীরা ট্রাম্পের ছবিযুক্ত অ্যামেরিকার পতাকার ওপর দিয়ে হেঁটে যান।