বিতর্কের জেরে বিবিসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগ

টিবিএন ডেস্ক

এপ্রিল ২৮ ২০২৩, ১৭:৫০

বিবিসির চেয়ারম্যান রিচার্ড শার্প। ছবি: সংগৃহীত

বিবিসির চেয়ারম্যান রিচার্ড শার্প। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

নিয়োগ বিতর্কের জেরে অবশেষে পদত্যাগ করেছেন বৃটেইনভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম ব্রিটিশ ব্রডক্রাস্টিং করপোরেশন-বিবিসির চেয়ারম্যান রিচার্ড শার্প।

তিনি বলেছেন, বিবিসির স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এ খবর জানিয়েছে বিবিসি নিউয

সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে ঋণ পাইয়ে দেয়ার বিনিময়ে এই চেয়ারম্যান পদ হাসিল করেছেন- এমন অভিযোগ ছিল সাবেক ব্যাংকার শার্পের বিরুদ্ধে। 

অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন সম্প্রতি প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়, চেয়ারম্যান পদের সাক্ষাৎকারের সময় দুটি তথ্য গোপন করে শার্প পাবলিক অ্যাপয়েন্টমেন্ট সিস্টেমের নিয়ম ভেঙেছেন।

এর মধ্যে একটি হলো, চেয়ারম্যান পদে আবেদন করার আগে শার্প এই পদের জন্য তার আগ্রহের কথা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে জানিয়েছিলেন। অন্যটি হলো, অর্থ সহায়তা পাইয়ে দিতে জনসনের সঙ্গে এক ধনী ব্যক্তির যোগাযোগ তিনি স্থাপন করে দিয়েছিলেন।

তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হলে শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে পদত্যাগের বিষয়টি জানান রিচার্ড শার্প। তিনি দাবি করেন, অনিচ্ছাকৃতভাবে নিয়ম ভঙ্গ হয়েছে, এর সঙ্গে বস্তুগত কোনো কিছুর সম্পর্ক নেই। 

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে আমি নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিয়ম ভেঙেছি, তবে এর জন্য আমার নিয়োগ অবৈধ হয়ে যায়না… আমি ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো নিয়ম ভাঙিনি, এতে আমার বস্তুগত কোনো স্বার্থ ছিল না… তারপরও বিবিসির স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে পদত্যাগ করছি।’

শার্প জানান, পরবর্তী চেয়ারম্যান নিয়োগ চূড়ান্ত না হওয়া অব্দি তিনি বিবিসির দায়িত্ব পালন করে যাবেন; জুনের শেষ নাগাদ পদ ছেড়ে দেবেন।
 

যা ঘটেছিল

রিচার্ড শার্প ৪০ বছর ধরে ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার হিসেবে কাজ করেছেন। কনযারভ্যাটিভ পার্টিতে গত দুই দশকে তিনি প্রায় ৫০০ হাজার ডলার অনুদান দিয়েছেন। এক সময় কনযারভেটিভ থিংকট্যাংক ‘সেন্টার ফর পলিসি স্টাডিয’-এর বোর্ডেও ছিলেন।

তিনি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে চার বছরের জন্য বিবিসির চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন।

এই পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই করে কালচার সেক্রেটারিকে পরামর্শ দেয় ব্রিটিশ এমপিদের একটি ক্রস-পার্টি প্যানেল। সেক্রেটারি আবার সম্ভাব্য প্রার্থীদের যোগ্যতা দেখে পরামর্শ দেয় প্রধানমন্ত্রীকে। সে অনুযায়ী চেয়ারম্যান পদে নিয়োগের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী।

শার্পের নিয়োগও চুড়ান্ত করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

সে সময় সানডে টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জনসনকে ঋণ পাইয়ে দেয়ায় বিনিময়ে শার্প বিবিসির নিয়োগ হাতিয়ে নিয়েছেন। এরপর থেকে বিরোধী দল ও বিবিসির সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তারা শার্পকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানাচ্ছিলেন।

অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ব্যারিস্টার অ্যাডাম হেপিনস্টলকে দায়িত্ব দেয় কমিশনার ফর পাবলিক অ্যাপয়েন্টমেন্টস।

শার্প দাবি করেন, জনসনকে ঋণ দেয়ার ঘটনায় তিনি জড়িত নন; এ নিয়ে তার কোনো স্বার্থও নেই। 


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন